স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ আগস্ট : প্রশাসনের অভিযানের পরেও একাংশ ব্যবসায়ীরা খাদ্য সুরক্ষার বিষয় নিয়ে সচেতন নয়। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে। এ বিষয় নিয়ে মানুষ লাগাতার অভিযোগ করছে সদর মহকুমা প্রশাসনের কাছে। কিন্তু নিয়মিত অভিযান না থাকার কারণে এ ধরনের অনিয়ম ক্রমশ বেড়ে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে। বুধবার সদর মহকুমা শাসকের নির্দেশে এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর হাঁপানিয়া ও আমতলী এলাকার বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায়।
অভিযানে ছিলেন সদরের অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিপুল চন্দ্র দাস, ডুকলী রেভিনিউ সার্কেলের আধিকারিক সুজিত দাস, সদরের ফুড কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক। তারা হাঁপানিয়া এবং আমতলী বাজারে বিভিন্ন মুদি দোকান এবং কয়েকটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে নয়টি গ্যাস সিলিন্ডার সহ মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার এবং মুদি দোকান থেকে প্লাস্টিক জাতীয় প্যাকেট এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে। এই অভিযানের সময় যাদের দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার উদ্ধার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিপুল চন্দ্র দাস।
এখন দেখার বিষয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু কি ধরনের অনিয়ম ব্যবসায়ীরা করে চলেছে সেটা প্রশাসন বিনা অভিযানে বুঝতে পারে না। যখন অভিযানে নামে তখন তারা দেখতে পায় মানুষের অভিযোগে কতটা সততা রয়েছে। যে অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলি খেলে মানুষের জীবন হানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই এই দায়ভার কে নেবে প্রশ্ন আমজনতার। লাগাতার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষের।