স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ জুলাই: ‘যথাযথ’ পোশাক পরে আদালতে না আসায় দেশের প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনা শুনতে হল সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীকে। দৃশ্যতই বিরক্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ‘‘আদালতে কি ফ্যাশন প্যারেড চলছে?’’ অপ্রস্তুত ওই আইনজীবী তাঁর পরিধান নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিতে গেলে প্রধান বিচারপতি তাঁকে মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘মার্জনা করবেন, আপনি যথাযথ পোশাক পরে না এলে আপনার বক্তব্য শুনতে পারব না।’’
ঘটনা শুক্রবারের। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এজলাসে একটি নির্মাণ ভাঙার মামলা ‘জরুরি ভিত্তি’তে শোনার আর্জি জানান এক আইনজীবী। তবে তিনি মামলাটি নিয়ে বলতে ওঠার পরেই প্রধান বিচারপতি তাঁকে থামিয়ে দিয়ে প্রথমে বলেন, ‘‘ইমেল করে দিন।’’ তার পরেই প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনার গলার সাদা ব্যান্ড কোথায়? এখানে কি কোনও ফ্যাশন প্যারেড চলছে?’’ জবাবে ওই আইনজীবী বিচারপতিকে কারণ ব্যাখ্যা করে বোঝাতে যান। তিনি বলেন, তাড়াহুড়োয় এজলাসে আসতে গিয়ে ব্যান্ডটি পরতে ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু সেই যুক্তিতে কান দেননি প্রধান বিচারপতি। আদালতের পরিধান সম্পর্কে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনও যুক্তিই যে তিনি শুনবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীকে জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট পোশাক-পরিচ্ছদ না পরলে তাঁর কোনও বক্তব্যই শুনবেন না তিনি।
আদালতে আইনজীবীদের কী পোশাক পরা উচিত, সে ব্যাপারে ‘বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’র বাঁধাধরা নিয়ম আছে। তাতে সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্ট, জেলা আদালত, দায়রা আদালত, ট্রাইব্যুনাল আদালত এবং নগর আদালতের আইনজীবীদের সাদা-কালো পোশাক, কালো জোব্বার পাশাপাশি সাদা ‘নেক ব্যান্ড’ পরা বাধ্যতামূলক। মহিলা এবং পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই আইনজীবীদের জন্য এই বিধি প্রযোজ্য। ওই নির্দিষ্ট পোশাকবিধি না মানার অর্থ আদালতের শৃঙ্খলাভঙ্গ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে ওই আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বুঝিয়েছেন, যে আদালত দেশের আইনশৃঙ্খলার বিচার করে, সেখানে সামান্য কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা বরদাস্ত করবেন না তিনি।