স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ জুন: গায়ানায় আফগানিস্তানের করা ১৫৯ রানের জবাবে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। ত্রিনিদাদে পরের ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৪৯ রানে থামিয়েও জিততে পারেনি কিউইরা। সেদিন তারা থামে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে। পরপর দুই পরাজয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়।এরপর তুলনামূলক দুর্বল দুই দেশ উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই বড় জয় পায় নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। উল্টো আগের দুই ম্যাচ জিততে না পারার হতাশা আরও বাড়িয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে উইলিয়ামসনের দল। বিদায়ের পর উইকেট নিয়ে আলোচনায় যোগ দিলেন কিউই অধিনায়ক।
ত্রিনিদাদে সোমবার পাপুয়া নিউ গিনিকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জের কথা মনে করিয়ে দেন উইলিয়ামসন।“সহজাত কারণেই এখানে কম রান হয়। এসব উইকেটে ব্যাটিংয়ে ছন্দ বলতে আসলে কিছু থাকে না। এখানে মূলত লড়াই করার মতো স্কোর গড়ার উপায় খুঁজে নিতে হয় এবং অন্যান্য তুলনামূলক ভালো উইকেটের চেয়ে ভিন্ন এখানে। তবে এটিই মূলত চ্যালেঞ্জ। যা দুই দলের জন্যই থাকে। এটি পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট। তবে এত সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্টে যত দ্রুত সম্ভব এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জিং।”
“আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা জানতাম যে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনের মোকাবিলা করতে হবে। আমার মতে, উইকেটের বন্ধুর আচরণ আসলে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কিছুটা কঠিন। তবে একইসঙ্গে যেটা বললাম, এখানে নিখুঁত করার চেয়ে, কার্যকর উপায় বের করার চেষ্টা করতে হবে। যেটা আমরা করতে পারিনি। প্রথম দুই ম্যাচে করতে পারলে ভালো হতো।”ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ৪০ ম্যাচ শেষে দুইশ ছোঁয়া স্কোর দেখা গেছে মাত্র ৩টি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৮ রান করে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া দুইশ ছাড়াতে পারে শুধু অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা।১২০ রানের কম করেও ম্যাচ জেতার ঘটনা দেখা গেছে চারবার। অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করতে পেরেছে দলগুলো।
ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও ক্যারিবিয়ানে সব ম্যাচ খেলা নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, এখানে খেলা সবসময়ের মতোই উপভোগ করেছেন তারা।“বাস্তবতা হলো, এসব উইকেটে ৯০ বা ১০০ রানও জেতার মতো হতে পারে। তাই টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং এখানে একটি নির্দিষ্টভাবে দেখতে হবে। কখনও কখনও ম্যাচ আপ পেয়ে গেয়ে হয়তো গড়পড়তার চেয়ে বেশি রান করতে পারবেন।”“এর বাইরে এটি অনর্যকম, অনন্য এক অভিজ্ঞতা ছেলেদের জন্য। ক্যারিবিয়ানে আসতে আমরা সবসময় ভালোবাসি। এটি দারুণ জায়গা। বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানের জন্যই কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং। তাই এখানে পথ খুঁজে নেওয়াই মূল।”