Friday, October 18, 2024
বাড়িরাজ্যতিপরা মথা নিজেরাই নিজেদের চেহারা জনগণের সামনে উন্মোচিত করেছে, বিরোধী দলনেতা হবেন...

তিপরা মথা নিজেরাই নিজেদের চেহারা জনগণের সামনে উন্মোচিত করেছে, বিরোধী দলনেতা হবেন জিতেন্দ্র চৌধুরী : মানিক সরকার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ মার্চ :  যেসব রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ধর্ম নিরপেক্ষ এবং সত্যিকার অর্থে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় তাদের জন্য রাজ্যের বামফ্রন্টের দরজা খোলা আছে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই প্রসঙ্গে এই বার্তা দেন পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পারফরম্যান্স নট অনলি জিরো, মাইনাস জিরো। আইনের শাসন তো নেই, জঙ্গলের শাসন চলছে। প্রথমত মহিলাদের উপর আক্রমণ বাড়ছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যের ৮ টি মহকুমায় ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে মহিলারা আক্রান্ত হয়ে থানায় যাওয়ার পর দারোগা বাবুরা বলছেন মামলা করলে পয়সা খরচ হবে, আদালতে যেতে হবে, পুনরায় আক্রান্ত হতে হবে। তাই বাড়ি ফিরে গিয়ে মন্ডলের নেতাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মেয়ে মানুষের করার চেষ্টা করার জন্য।

 দ্বিতীয়ত প্রতিদিন রাস্তায় দুই থেকে তিনটা মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে। এবং এগুলি পুলিশ তদন্ত করার আগেই বলে দিচ্ছে আত্মহত্যা না হলে দুর্ঘটনা। অপরদিকে বাইরে থেকে আরএসএস পরিবারের লোকদের রাজ্যে এনে কাজ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাঁকা পথে তারা মহকুমা শাসক অফিস থেকে ভুয়া নথি পত্র বের করে নিচ্ছে। ফলে কাজ মিলছে না রাজ্যের যুবকদের। এবং লুটেপুটে খাচ্ছে নেতারা। কর্মসংস্থানের জন্য তাদের হন্য হয়ে ঘুরতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে মোট ২৬ টি দল নিয়ে। আরো বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়া জোটের সাথে জোট হবে। নেতৃত্বরা স্থির করছে কোন আসনে কোন প্রার্থীকে দিলে জোরদার হবে। বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের দুটি আসনের জন্য অত্যন্ত সিরিয়াস থেকে লড়াই করতে হবে বলে জানান তিনি। বেকারত্ব প্রসঙ্গে শ্রী সরকার বলেন, পরোক্ষভাবে দেখতে গেলে বলা যায় বেকারত্বের কারণে নেশা দিকে ঝুঁকি বাড়ছে।

বিধানসভায় আওয়াজ তুললে অধ্যক্ষের চেয়ার ব্যবহার করে বিরোধীদের কন্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজ্যে সিপিআইএম -এর কাছে দশজন বিধায়ক রয়েছেন। তাই আগামী দিনে সিপিআইএম বিরোধী দলের স্বীকৃতি পাবে। দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা ভূমিকা পালন করবেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। পাশাপাশি মানিক সরকার বিজেপি সরকার ও তিপরা মথার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে সে বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন এই ভিত্তিহীন। চুক্তি দু তিন দিনের মধ্যেই মথা সরকারে ঢুকে গেছে। তাদের মূল লক্ষ্যই হলো উপজাতি ও অউপজাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করা। আর এই বিভাজন করেন বামফ্রন্টকে আটকানোর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে মথার মধ্যে যারা বিধায়ক হয়েছেন তারা কেউ কেউ দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছেন, আবার কেউ কেউ মন্ত্রী হতে চাইছেন, যার ফলে দল এবং অস্তিত্ব দুটাই টিকিয়ে রাখা কষ্ট হয় করেছে তাদের কাছে। তাই তারা ভেবেছে বাইরে থেকে হইহুল্লোড় না করে সরাসরি শাসক দলের সাথে একাকার হয়ে যাওয়ার। এতে করে তারা নিজেরাই নিজেদের চেহারা জনগণের সামনে উন্মোচিত করেছে বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য