Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যপূর্বতন সরকার ৩৫ বছর নিজেদের গরিবের সরকার হিসাবে দাবি করেছে, কোন কাজ...

পূর্বতন সরকার ৩৫ বছর নিজেদের গরিবের সরকার হিসাবে দাবি করেছে, কোন কাজ করে নি : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ফেব্রুয়ারি : তেলিয়ামুড়া মহকুমার উন্নয়নের মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক। সোমবার তেলিয়ামুড়ায় উদ্বোধন হল শ্মশান ঘাটের অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক চুল্লি ও নব নির্মিত টারশিয়ারি সেন্টার। এইদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে উদ্বোধন করেন তেলিয়ামুড়া শ্মশান ঘাটের অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক চুল্লি। পরে তেলিয়ামুড়ার বড়লুঙ্গা এলাকায় উদ্বোধন করেন নব নির্মিত টারশিয়ারি সেন্টারের।

সেখানে হয় মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন করোনার প্রকোপ চলাকালিন সময় বিশ্বের উন্নত দেশ গুলি যখন নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতবাসিকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে গেছেন। দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের কৃষক, গরিব, যুব ও মহিলাদের উন্নতি হলে দেশের উন্নতি হবে। মহিলাদের আত্ম সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রতি বাড়িতে পাকা শৌচালয়ের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। উজ্জলা যোজনার মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো দিশাতে রাজ্য সরকার কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন তেলিয়ামুড়া শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হবে। তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না। রাজ্যের পূর্বতন সরকার রাজ্যের উন্নয়নে কোন কাজ করে নি। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তারা নিজেদের গরিবের সরকার হিসাবে দাবি করে এসেছে।

 তারাই গরিবদের আরও গরিব বানিয়ে রেখে ছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সাথে উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার থাকার ফলে দ্রুত গতিতে চলছে উন্নয়ন মূলক কাজ। মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন ত্রিপুরাকে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য তেলিয়ামুড়া শ্মশানে আধুনিক বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর জন্য ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। অপরদিকে টারশিয়ারি সেন্টার নির্মাণের জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, খোয়াই জেলার জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রান, মহকুমা শাসক শীর্ষেন্দু দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য