স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক ,৯ ফেব্রুয়ারি : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেছেন, তাঁর স্মৃতিশক্তি যথেষ্ট ভালো। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ঠিকমতো সামাল দিতে না পারা–সংক্রান্ত এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মাথায় এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই ডেমোক্র্যাট নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মার্কিন জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক বিরল ভাষণে তাঁকে কখনো ক্ষোভ ঝাড়তে, আবার কখনো আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা গেছে।হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেনের দেওয়া ভাষণটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে (২০০৯-১৭ সাল) ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন। সে সময়ের বেশ কিছু গোপন সরকারি নথি (শ্রেণিবদ্ধ নথি) গত বছর বাইডেনের ডেলাওয়ারের বাড়ি ও ওয়াশিংটন ডিসির সাবেক ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয়। শ্রেণিবদ্ধ নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার ঘটনা তদন্তে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে রবার্ট হুরকে নিয়োগ দেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।
গতকাল রবার্ট হুর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি কম। তিনি তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা মনে রাখতে পারেন না। এমনকি তিনি তাঁর ছেলে বিউর মৃত্যুর তারিখও মনে করতে পারেন না।
এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্মৃতিশক্তি চমৎকার। এমনও বলা হচ্ছে যে আমার ছেলে কবে মারা গেছে, সেটাও আমার স্মরণে নেই। কীভাবে তিনি এমনটা বলতে পারেন?’বাইডেন যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না।মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ৯ মাস বাকি। নির্বাচনকে সামনে রেখে হুর প্রকাশিত ৩৮৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮১ বছর বয়সী বাইডেন দুর্বল স্মৃতিশক্তির একজন সদয় ও বয়স্ক মানুষ। যথাযথভাবে নথি সংরক্ষণ না করতে পারার ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি জুরি।হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি সদয় ও বয়স্ক মানুষ। কী কাজ করছি, তা আমি জানি। আমি প্রেসিডেন্ট। আর আমি দেশকে আবারও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছি। দেখুন না, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমি কী কী কাজ করেছি।’হুরের প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর স্পিকার মাইক জনসন ও প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এ প্রতিবেদন দেখিয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুপযোগী।২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে অনেক সরকারি গোপন নথি পাওয়া যায়। সরকারি গোপন নথিসংক্রান্ত মামলায় ট্রাম্পকে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত করা হয়েছে।