স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ ফেব্রুয়ারি : মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালে প্রথম মৎস্য উৎসব হয়েছিল হাঁপানিয়ায়। পরে করোনার জন্য তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের এবছর মাছ উৎসব আয়োজন করা হয় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে। দুইদিন ব্যাপী উৎসবের সূচনা হয় শুক্রবার রাজধানীর পূর্বাশা কমপ্লেক্সে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রাক্তন বিধায়ক ডাঃ দিলিপ দাস, পশ্চিম জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরি দুলাল আচার্য, মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
উৎসবে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৎস্য চাষিরা মাছ নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও সরকারি, স্ব-সহায়ক দল, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্টল খুলেছে। আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মৎস্য চাষিদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে এখন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে।তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে মাচভহ ত্রিপুরায় আমদানি করা হয়। কোনদিন যদি ত্রিপুরা থেকে মাছ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয় তাহলে খুবই খুশি হবেন।অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মৎস্যমন্ত্রী জানান, মৎস্য সম্পদ বিকাশ যোজনার মাধ্যমে মৎস্য চাষিদের প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে তা কিছুদিনের মধ্যে চালু করা হবে।
এদিন মাছ উৎসবের প্রথম দিনই প্রচুর মানুষ অংশ নিয়েছেন। জানা গেছে রবিবার পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। যাতে মানুষ কেনাকাটার সুবিধা পান ছুটির দিনেও। রাজ্যে বর্তমানে বছরে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭৬ মেট্রিকটন মাছ প্রয়োজন। রাজ্যে উৎপাদন হয় ৮৩ হাজার ৪৮৬ মেট্রিকটন। বাকি ৩১ হাজার ৬৯০ মেট্রিকটন মাছ বাংলাদেশ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী মাছের স্টলগুলি পরিদর্শন করেন।