Saturday, September 21, 2024
বাড়িরাজ্যতিপ্রা মথার অবরোধস্থল থেকে উদ্ধার তাজা বোমা

তিপ্রা মথার অবরোধস্থল থেকে উদ্ধার তাজা বোমা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ সেপ্টেম্বর : শনিবার তিপ্রা মথার সড়ক অবরোধস্থল থেকে উদ্ধার তাজা বোমা। শান্তিপূর্ণ ত্রিপুরা রাজ্যকে অগ্নিগর্ভ করে তোলার নীল নক্সা। ঘটনা চম্পকনগরের চন্দ্র সাধু পাড়া এলাকায়। তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে দেখা দেয় উত্তেজনা। আরক্ষা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রনে আসে পরিস্থিতি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা যায়, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শনিবার এডিসি এলাকায় ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় তিপ্রা মথা। সেই মোতাবেক এইদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বনধের সমর্থনে সড়ক অবরোধে বসে তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা।

 জিরানিয়ার চম্পকনগর চন্দ্র সাধু পাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধে সামিল হয় শতশত তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থক। পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে না যায় তাঁর জন্য সেখানে আগে থেকে মোতায়েন ছিল প্রচুর সংখ্যক, টিএসআর, সিআরপিএফ ও পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে। অবরোধস্থলের অদূরে জঙ্গলে আচমকা একটি বোমা ফাটে। পাশাপাশি উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা। সড়ক অবরোধকারিদের একাংশের দাবি সিআরপিএফ জওয়ানরা গাড়িতে করে বোমা নিয়ে এসেছে। পাল্টা  সিআরপিএফ জওয়ানদের দাবি তারা কর্তব্য পালন করতে সেখানে গিয়েছে। সুতরাং তারা কেন বোমা নিয়ে যাবে। মুহূর্তের মধ্যে তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা সহ আরক্ষা দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিপ্রা মথা দলের এক কর্মী জানান কারা এই বোমা নিয়ে এসেছে তা ওনাদের জানা নেই। একটি বোমা ফেটেছে। আরও একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কথা বলেন তিপ্রা মথা দলের নেতৃত্বদের সাথে। আশ্বাস দেন গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে।

 তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা জানান সিআরপিএফ জওয়ানরা গাড়িতে করে বোমা নিয়ে আসার কথা নয়। তারপরও যেহেতু তিপ্রা মথা দলের কর্মীরা অভিযোগ করেছে, তাই ঘটনার তদন্ত করা হবে। তিনি আরও জানান একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। আরও একটি বোমা ফেটেছে বলে জানতে পেরেছেন। এইদিন তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে একটা সময় সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়ি ভাংচুর করার চেষ্টা চালায়। যদিও আরক্ষা প্রশাসনের সক্রিয়তার কারনে তা সম্ভব হয় নি। প্রশ্ন হচ্ছে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু সেখানে বোমা কে নিয়ে এসেছে। আরক্ষা প্রাশনের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার কাজ করে। তারা কেন সেখানে বোমা নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করার চেষ্টা করবে। আর পরিস্থিতি যদি অগ্নিগর্ভ রুপ ধারন করে তাহলে নাম খারাপ হবে আরক্ষা প্রশাসনের। স্বাভাবিক ভাবেই তিপ্রা মথা দলের কর্মীদের দাবি অযৌক্তিক। তবে যে বা যারা সেখানে বোমা নিয়ে গেছে তারা পরিকল্পনা করে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করার জন্য সেখানে বোমা নিয়ে গেছে এইটা বলা যায়। কারন পরিস্থিতি ঘোলা হলে, সেই ঘোলা জলে মাছ শিকার করার প্রয়াস করা যাবে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি তথ্য বেরিয়ে আসে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য