আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি (হি.স.) : অনুমোদনহীন প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থায় আজ হানা দিয়েছে প্রশাসন। ওই সংস্থা বন্ধের নোটিশ জারি করেছে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়। উদ্বেগের বিষয়, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় এমন আরও ৩৮টি সংস্থা রয়েছে। প্রশাসন সেখানেও অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সংগীতা চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)-র অনুমোদন ছাড়াই ইন্দ্রনগরে অবস্থিত ড্রপলেট সংস্থাটি প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুত করছিল। তাই ওই সংস্থা বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সারা ত্রিপুরায় প্যাকেটজাত পানীয় জলের প্রচুর সংস্থা সম্প্রতি গজিয়ে উঠেছে। ওই সব জলের গুণমান নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। এমন-কি নামী সংস্থাগুলির নাম ব্যবহার করেও ত্রিপুরায় প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা ত্রিপুরার প্রত্যন্ত এলাকায় ইউনিট বসিয়ে জল প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। অনেকের কাছেই খাদ্য নিরাপত্তার বৈধ অনুমোদন নেই বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই, প্রতিনিয়ত প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অবৈধভাবে ওই সব ব্যবসা রমরমিয়ে বাড়ছে।
আজ বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্যালয়ের তরফে ইন্দ্রনগরে অবস্থিত ড্রপলেট প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থায় অভিযানে যান। সেখানে গিয়ে জল প্রস্তুত করার বৈধ অনুমোদন দেখাতে ব্যর্থ হন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সংগীতা চক্রবর্তী বলেন, ড্রপলেট সংস্থার পানীয় জল বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তাঁদের পানীয় জল প্রস্তুত করার কোনও বৈধ অনুমোদন নেই। তাই, সংস্থা বন্ধ করার নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, এফএসএসএআই-এর অনুমোদন পেলে তবেই তাঁদের প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুত করার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। ততদিন আইনত ওই সংস্থা বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, বৈধ অনুমোদন ছাড়া প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুত করার প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় এমন ৩৮টি সংস্থা বৈধ অনুমোদন ছাড়া প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুত করছে। প্রশাসন এখন কঠোরভাবে ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তাঁর দাবি, এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আগামী দু-দিন জিরানিয়া এবং মোহনপুরে প্যাকেটজাত পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থায় অভিযান চালানো হবে। তাঁর বক্তব্য, উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে এ ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে।