Friday, November 22, 2024
বাড়িরাজ্যপরিষেবা বন্ধ ১০২

পরিষেবা বন্ধ ১০২

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জানুয়ারি। মুখ থুবড়ে পড়ল ১০২ নম্বরে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ, যা হয়তো মন্ত্রী বাবু থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের খবর নেই বললেই চলে। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এন এইচ এম বেশ ঢাকঢোল বাজিয়ে রাজ্যে ৮ টি জেলার জন্য ১০২ নম্বর লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালগুলিতে প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু পরিষেবা ঠিকঠাকভাবে চলছিল। রোগীরা উপকৃত হতো।

কিন্তু আচমকা বৃহস্পতিবার রাতে পরিষেবা বন্ধ করে দিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাজ্যের মহকুমা এবং জেলা হাসপাতাল গুলিতে বহুরোগী কাতরাচ্ছে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারছে না। এ কেমন নগ্নতার প্রকাশ রাজ্যে হাসপাতালগুলিতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন বাদে আপামর জনগণের মধ্যে। এ বিষয়ে জিবি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে ইমারজেন্সি টেকনোলজি ও অ্যাম্বুলেন্সের পাইলটের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যাতে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। সে মোতাবেক এখন পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু করবেন না বলে তাদের কাছ থেকে জানা যায়। এক রোগীর পরিজনেরা জানায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১০২ নম্বর অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ থাকার বিষয়ে তারা অবগত ছিল না। তারা ১০২ নম্বরে ফোন করার পর কোন প্রতিক্রিয়া না পেয়ে পরবর্তী সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে পেরেছে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সেই ব্যক্তি জানান উনার পিতাকে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময় জিবি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আইএলএস হাসপাতালে রেফার করেছে। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রোগীকে আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে নি। কারণ বেসরকারি গাড়িতে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা নেই। ফলে অসহায় রোগীর পরিবার পরিজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এদিকে মহকুমা স্তর থেকে খবর রোগীদের জিবি হাসপাতালে রেফার করা হলে অত্যাধিক টাকা ভাড়া দিয়ে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসতে হচ্ছে। আর যেসব রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন তারা এখনো জিবি হাসপাতাল মুখী করতে পারেনি রোগীদের। এ ধরনের চিত্র দেখে মানুষের চোখ কপালে উঠে গেছে। এদিকে সূত্রের খবর এন এইচ এম থেকে পরিষেবা প্রদানের জন্য যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে সংস্থা পরিষেবা প্রদান করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। গাড়ি নষ্ট হওয়ার পরও এন এইচ এম থেকে অর্থ পাচ্ছে না। ফলে পরিষেবা চালিয়ে যেতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য