স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ডিসেম্বর : সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলি নিজের মতো ঘর গুছোতে শুরু করেছে। দিল্লিতে পার্টি অফিসে দলের জাতীয়স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নরেন্দ্র মোদী, জেপি নড্ডা সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এবার বিজেপির কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। সব দিকে বিচার বিবেচনা করে প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে বিজেপি। আর সেই প্রার্থী তালিকায় অন্তত ১০০জন সাংসদ বাদ পড়তে পারেন বলে খবর।
তবে সূত্রের খবর, বিজেপি নতুন প্রজন্মকে তুলে আনতে চাইছে। তার মানে এটা নয় যে অভিজ্ঞদের কোনও জায়গা থাকবে না। মূলত যেটা ভাবা হচ্ছে ৭৫ বছর বয়সিরা এবার টিকিট নাও পেতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য়ই ব্যতিক্রমী তো থাকবেই।
তবে এবার তিনি মধ্য়প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে বিজেপি একেবারে আনকোড়া মুখকে সামনে আনতে চাইছে। এমনকী দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া নেতারাও মুখ্য়মন্ত্রীর পদে বসতে পারেননি। সাংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিজেপি এবার বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটাতে চাইছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে। কারণ তাঁরা দলের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর যাঁরা বাদ পড়বেন তাঁদেরকেও দল নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেবে বলে খবর।
সূত্রের খবর, সাংসদ হওয়ার জন্য প্রার্থীদের গড় বয়স ৫৫র মধ্য়ে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এতে কাজ করতে অনেকটাই সুবিধা হয়।
যে সমস্ত সাংসদরা নানা কারণে বাদ পড়তে পারেন তাঁদের মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য নাম হল মেনকা গান্ধী ও তাঁর পুত্র বরুণ গান্ধী, দিল্লির সাংসদ হর্ষ বর্ধন, হংস রাজ হংস, প্রয়াগরাজের সাংসদ রীতা বহুগুণা যোশী প্রমুখ। তবে বয়সের কারণে হেমা মালিনীও বাদ পড়তে পারেন। তবে ৭৫ পেরিয়ে গেলেও তিনি আজও কর্মঠ। এমনকী যে সাংসদরা বছরের পর বছর ধরে জিতে এসেছেন তাঁরা এবার ভোটে লড়ার টিকিট না পেতে পারেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটে লড়ার টিকিট পাননি লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমোহন যোশী সহ বিজেপির পরিচিত মুখরা। এবার কি রাজনাথ সিং কিংবা নীতীন গড়করি টিকিট পাবেন? তার জন্য় আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।