স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ডিসেম্বর : কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ১লা ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠবারের মতো বাজেট পেশ করবেন। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট এটা হতে চলেছে। এর মাসদেড়েকের মধ্যেই লোকসভা ভোট।
ফলে অনুমান করা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিশেষ করে চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা দিতে পারে। সরকার বাজেটে শ্রম আইন আনতে পারে বলে জল্পনা চলছে।
কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে শ্রম আইন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। কিন্তু রাজ্যগুলির মধ্যে ঐকমত্যের অভাবে আইনটি কার্যকর করতে বিলম্ব হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন যে বাজেটে কোনও বড় ঘোষণা করা হবে না। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ভোটের দিকে তাকিয়ে এই অন্তবর্তী বাজেটে বিশেষ ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র।
অনুমান করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অর্জন করা জমানো ছুটির পরিমাণ ২৪০ থেকে ৩০০ হতে পারে। কর্মীদের উপার্জিত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বাজেটে।
শ্রম আইন নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন ও শিল্পপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এতে কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি ২৪০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করার দাবি জানানো হয়।
সরকার এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। PF এবং অর্জিত ছুটির সীমা বাড়ানোর জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলির উত্থাপিত দাবিতেও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
শ্রম সংস্কার সম্পর্কিত নতুন আইন সংসদে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাস হয়েছিল। এখন কেন্দ্রীয় সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইগুলি কার্যকর করার চেষ্টা করছে।
শ্রম কোডের নিয়মে মূল বেতনের মধ্যে বেসিক স্যালারি হবে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি। এতে বেশিরভাগ কর্মচারীর বেতন কাঠামো পরিবর্তন হবে।
বেসিক বেতন বাড়লে পিএফ এবং গ্র্যাচুইটিতে পরিমাণ বাড়বে। এতে কর্মীরা মাসিক বেতন কিছু কমবে। তবে অবসর গ্রহণের সময় প্রাপ্ত পিএফ তহবিল বৃদ্ধি হবে।