স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জুলাই : ২০১৮ সালে রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নারী নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে সারা রাজ্যে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে নারীরা শুধু পারিবারিক হিংসা, ধর্ষণ, অপহরণ, শ্লীলতাহানি নয়, বাইক বাহিনীর সন্ত্রাসের শিকারও হচ্ছে নারীরা। এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যদি ইতিমধ্যে কোন আইনত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে বুধবার ভানু স্মৃতি ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেত্রী ঝর্ণা দাস বৈদ্য।
তিনি বলেন, ইদানিংকালে কল্যাণপুরে চার বছরের একটি নাবালিকার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এদিকে কমলপুর মহকুমার বামনছড়ার অন্তর্গত কান্ধীগ্রাম ও ভূবনছড়া রাস্তার পাশে গত ১০ জুলাই উদ্ধার হয়েছিল সুজলা মালাকার নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ। পরে জানা যায় মেয়েটি অটো দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তাকে রাস্তায় আটক করে সেই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। এর সাক্ষ্য দিয়েছেন অটোচালক। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গোহাটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির একটি প্রতিনিধি দল সেই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন। এ ধরনের নারী হত্যাকান্ডের ঘটনা অতীতে কখনো হয়নি। আর এ ধরনের ঘটনা রুখতে বিজেপি এখন পর্যন্ত কোন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে নি। এই ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ছে বিজেপির বাইক বাহিনী যুবকরা। আর এ কাজের জন্য যে শাস্তি হওয়ার কথা তা করা হচ্ছে না। বেকাসুর হয়ে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করছে দোষীরা। সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামিদের কঠোর শাস্তি দাবি জানায়। যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় সংগঠিত না হয় ত্রিপুরা রাজ্যে। আরো বলেন কাঁঠালতলি এলাকায় সম্প্রতি যে গৃহবধূ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারও যেন কঠোর শাস্তি হয় তার জন্য দাবি জানান। নারীদের ইজ্জত রক্ষার জন্য সরকার যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে সারা রাজ্যের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশ বলতে পারছে না সেই মৃতদেহের পরিচয়। এবং এ বিষয়ে পুলিশের কাছে পরবর্তী সময় জানানোর বিষয়ে অবগত করা হলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না। পুলিশের ভূমিকার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ঝর্ণা দাস বৈদ্য।