Saturday, February 15, 2025
বাড়িরাজ্যতিনটি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি কংগ্রেসের

তিনটি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি কংগ্রেসের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জুন : শাসক পার্টি বাইরে থেকে লোক এনে আগরতলা বিজেপি বিধানসভা কেন্দ্রের গণদেবতাদের হয়রানি করেছে। ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের ১২ নম্বর বুথে, ১৩ নম্বর বুথে এবং ৫৫ নম্বর বুথে কংগ্রেসের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এবং একজন ভোটারকে জোর করে ধরে নিয়ে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই কংগ্রেস রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিকের কাছে দাবি জানাবে তিনটি কেন্দ্রে যাতে পুনরায় ভোট সংগঠিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। তিনি বলেন, আগরতলা শহরের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপি ভোটদানে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ছাপ্পা ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে এনেছে। ৮ বড়দোয়ালি কেন্দ্রের সখীচরণ স্কুলে সঞ্জীব দাস নামে এক ব্যক্তি সহ কয়েকজন মহিলা বহিরাগত প্রতাপগড় বাসিন্দা হয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে যায়। সেখানে তারা ধরা পড়েছে। একইভাবে যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটাররা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে ভোট দিতে যায়। এমনকি যারা ছাপ্পা ভোট দিতে এসেছিল তাদের প্রতিরোধ করেছে। তাই কংগ্রেস তিনটি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি করা হবে বলে জানান তিনি। বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে যদি এ ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে পুনঃ ভোট দাবি করা হবে। কিন্তু তারপরও কংগ্রেস আশাবাদী কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়যুক্ত হবে। মানুষ ভয় ভীতি উপেক্ষা করে দিন ভোট দিতে এগিয়ে এসেছে বলে জানান বীরজিৎ সিনহা।   

আজকের নির্বাচন আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে শাসক দল বিজেপি তাদের ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। আজকের নির্বাচন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচন। এই নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ শাসক দল বিজেপিকে আবারো একটি নগ্ন ভূমিকায় দেখেছে। এদিন শাসকদলের মরিয়া চেষ্টা করে মুখ্যমন্ত্রীকে জয়ী করতে। তাই বাইরে থেকে কর্মী এবং কার্যকর্তাদের এনে আগরতলা দুটি বিধানসভা কেন্দ্র জয়ী হতে চেয়েছে বলে জানান আশীষ কুমার সাহা। তিনি আরো বলেন দুপুর দুইটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হতে পারবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি। তারপর মুখ্যমন্ত্রী তার কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু জনগণ এর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। মানুষের মধ্যে কংগ্রেসের সচেতনতা গড়ে তুলেছিল তার প্রতিফলন ঘটেছে আজকের নির্বাচনে। মানুষ ছাপ্পা ভোট দিতে আসা শাসক দলের কর্মীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংঘটিত করা হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখেননি। নিজের জয়ী হতে দলের নগ্নতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তাই যেসব ভোটাররা ভোট দিয়েছে তার উপর আস্থা রেখে কংগ্রেস দাবি করে ২৬ জুন গণতন্ত্রকামী মানুষের জয় হবে। জনগণের উপর আস্থা রয়েছে কংগ্রেসের। তাই কংগ্রেস দাবি করছে আগরতলা দুটি আসনেই তারা জয়ী হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য