Wednesday, July 16, 2025
বাড়িরাজ্যদিব্যাঙ্গজন, ক্যান্সার রোগীদের ভাতা নিয়ে সরকার বদ্ধপরিকর : টিংকু

দিব্যাঙ্গজন, ক্যান্সার রোগীদের ভাতা নিয়ে সরকার বদ্ধপরিকর : টিংকু

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৭ জুন: সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর ১০ বৎসর বা এর অধিক বয়সের ৬০ শতাংশের অধিক দিব্যাঙ্গজনদের পারিবারিক বাৎসরিক আয় সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা। তাদের ১০০ শতাংশ সামাজিক ভাতা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এর অঙ্গ হিসাবে “খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমস” হবে। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১৮ ও ১৯ তারিখে ত্রিপুরার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়ের উপস্হিতিতে বিশেষ শিবির করে মোট ২৫৩৭ জন দিব্যাঙ্গজনকে সামাজিক ভাতা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই প্রতি মাসে ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন।

এরই অঙ্গ হিসাবে এই মাসে দ্বিতীয় ধাপে ৬৫৮ জন দিব্যাঙ্গজনের আবেদন মূলে সামাজিক ভাতা প্রদানের অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি আরো বলেন, ক্যান্সার রোগীদের ১০০ শতাংশ সামাজিক ভাতা প্রদানের কথা চিন্তা করে গত ১ মে থেকে “অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওনাল ক্যান্সার হসপিটালে” এ একটি “হেল্প ডেক্স” চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই “হেল্প ডেক্স” এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ১১৮ টি আবেদনপত্র জমা পড়ছে এবং উক্ত আবেদনপত্রগুলোর অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনমূলে, ত্রিপুরার প্রত্যেক জেলায় ১ টি করে ওয়ান স্টপ সেন্টার রয়েছে এবং বর্তমানে সবকয়টি ওয়ান স্টপ সেন্টার এ প্রকল্প অনুযায়ী পরিষেবা চলছে। বর্তমানে ত্রিপুরার আগরতলা ও কৈলাসহরে ২টি নতুন ওয়ান স্টপ সেন্টার অনুমোদন দিয়েছে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক। মিশন শক্তি প্রকল্পের অধীনে অনুমোদিত এই কেন্দ্রগুলি মহিলাদের জন্য একক ছাদের নিচে পুলিশ সহায়তা, আইনি সহায়তা, কাউন্সেলিং ও অস্থায়ী আশ্রয় প্রদান করবে।

 আগরতলায় মহিলা আশ্রম প্রাঙ্গণে এবং কৈলাসহরে উপযুক্ত স্থান চিহ্নিত করে কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলেছে। প্রতিটি OSC-এর জন্য নতুন নির্মাণে ৬০ লক্ষ টাকা ও সংস্কারে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই ২ টি OSC কেন্দ্র চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় ১০,২২২টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র চালু আছে এবং ৫৩ টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র মে মাসে চালু হয়েছে। এ ছাড়াও জনজাতিদের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ভারত সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক ‘ধরত্রী আবা জানজাতি গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান বা “DAJGUA” প্রকল্পে ত্রিপুরার জন্য আরো ১১৯ টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র খোলার অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য ১৪ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করেছে। মন্ত্রী আরো জানান, গত ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দুই কিস্তিতে প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসী নয়া মহাঅভিযান এবং পিএম জনমন প্রকল্পে মোট ১৪১ টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র খোলার অনুমোদন দিয়েছিল। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ৮৫ টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র খোলার অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অধীনে। এর জন্যে ১০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করেছে। সবকটি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র চালু হলে ত্রিপুরায় মোট ১০,৫৬৭ টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে হবে। এতে নতুন ৩৪৫টি অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের জন্যে মোট ৩৪৫ জন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী এবং ৩৪৫ জন অঙ্গনওয়াড়ী সহায়িকা নিয়োগের সুযোগ হবে বলে জানান মন্ত্রী। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের আধিকারিকরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য