স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ জুন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সময় বলে থাকেন আন্দোলনের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হয় না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু রাজ্যে দেখা যায় বারে বারে সমস্যা নিয়ে আধিকারিকদের জানানো হলেও কোন কাজ হয় না। আর যখনই আন্দোলন সংগঠিত করা হয় তখনই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যার প্রমান ফের একবার মিলল। ধর্মনগরের সরকারি ডিগ্রি কলেজটি অধ্যাপক সঙ্কট সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছে দীর্ঘ দিন ধরে। কলেজে পর্যাপ্ত শৌচালয় থাকলেও সেই গুলিকে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। যার কারনে সেই গুলি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কলেজে রয়েছে পর্যাপ্ত কক্ষের অভাব।
যার কারনে পরীক্ষার সময় কলেজের পড়ুয়াদের স্থানীয় একটি স্কুলে গিয়ে পরীক্ষায় বসতে হয়। কলেজের পলিটিক্যাল সাইন্স বিভাগে দুই হাজারের অধিক পড়ুয়া রয়েছে। অধ্যাপক অধ্যাপিকা রয়েছেন মাত্র তিন জন। তার মধ্যে এক জন অধ্যাপিকা দুই বছর ধরে অসুস্থ। স্বাভাবিক ভাবেই কলেজের পলিটিক্যাল সাইন্স বিভাগ চলছে দুই জন অধ্যাপক দিয়ে। তার মধ্যে এক জন শিক্ষকের অন্যত্র বদলির নির্দেশ এসেছে। মঙ্গলবার ঐ শিক্ষককে কলেজ থেকে রিলিজ করার কথা ছিল। বিষয়টি জানার পর কলেজের পড়ুয়ারা শিক্ষক বদলির প্রতিবাদ সহ কলেজের আভ্যন্তরীণ সমস্যা গুলিকে নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়। কলেজের পড়ুয়ারা এইদিন কলেজের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কলেজের সামনে সড়ক অবরোধে সামিল হয়। কলেজের পড়ুয়ারা তাদের আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানান। কলেজের পড়ুয়াদের আন্দোলনের খবর পেয়ে আন্দোলন স্থলে ছুটে যান ধর্মনগর মহকুমার ডিসিএম ঝিনু প্রসাদ বরুয়া। তিনি কলেজের পড়ুয়াদের সাথে আলোচনা করেও ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করাতে ব্যর্থ হন। এরই মধ্যে আন্দোলন চলাকালীন সময় কয়েকজন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। দমকল বাহিনীর কর্মীরা অসুস্থ পড়ুয়াদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘন্টা আন্দোলন চলার পর ধর্মনগর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌতম দাস আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সাথে আলোচনায় বসেন। এবং পড়ুয়াদের আশ্বাস দেন পলিটিক্যাল সাইন্স বিভাগের শিক্ষক ডঃ সত্যজিৎ দাসের বদলি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। রবিবারের মধ্যে নতুন শিক্ষক নিয়োগের পর ঐ শিক্ষককে রিলিজ দেওয়া হবে। তাছাড়া কলেজ আভ্যন্তরীণ সমস্যা গুলি সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে এই আশ্বাস পেয়ে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় কলেজের পড়ুয়ারা।