স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ জুন : গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নাম করে শহরে পুলিশের সামনে চরম উশৃংখলতা করল রাষ্ট্রবাদী সংগঠন সমর্থিত রিকশা চালকরা। তাও আবার রাজ্যের দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতালের সামনে ঘটে এই উৎশৃঙ্খরতা। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার সময় এই উশৃংখলতার সাক্ষী হয়েছে আগরতলাবাসী। এই রাষ্ট্রবাদী সংগঠনের নেতৃত্ব হলেন হিরন মিয়া।
সকাল সাড়ে দশটা থেকে আগরতলা শহরে কয়েক হাজার রিকশা নিয়ে মিছিল করেন। লক্ষ্য করা গেছে অফিস টাইমে রাস্তার মধ্যে দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে রিক্সা নিয়ে এই মিছিল সংঘটিত করায় গোটা শহর নাকা বন্দী হয়ে পড়ে। মিছিলের অগ্রভাগে ছিল পুলিশ। কিন্তু অনভিজ্ঞ পুলিশ অফিসারদের জানা ছিল না অফিস টাইমে শহরের মধ্যে যদি একটি এত বড় মিছিল করা হয় তাহলে গোটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কতটা ভেঙে পড়তে পারে। এদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অফিস আদালতে কর্মরত কর্মীরা পর্যন্ত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা দেরি হয়।
পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার সময় হয়তোবা এই রাষ্ট্রবাদী সংগঠনের জানা ছিল না অফিস টাইমে যদি মিছিল করা হয় তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কতটা বাড়তে পারে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তো সে বিষয়ে অবগত থাকার কথা। কি কারণে অফিস টাইমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াতে থানা বাবুরা এবং সদর মহকুমা পুলিশ প্রশাসন তাদের আগরতলা শহরের মধ্যে এত বড় মিছিল করতে দিয়েছে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে? তারপর শুধু তারা মিছিলে সীমাবদ্ধ ছিল না। গণতান্ত্রিক মিছিলের নামে কতটা উশৃংখল হওয়া যায় সেটাই দেখালো তারা। আগরতলা পুর নিগম অফিস চত্বরে এসে তারা দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতালের রাস্তা অবরোধ করে ফেলে। বহু রোগীকে হাসপাতালে গাড়ি দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি। সংকটাপন্ন রোগীদের পর্যন্ত গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়েছে। সবটাই পুলিশ প্রশাসনের সামনে ঘটলেও কাঠ পুতুল সেজে ছিল পুলিশ। বিশেষ করে পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশের নিষ্কর্মতা যে কতদূর গিয়ে পৌঁছেছে সেটাই ষ্পষ্ট হয়েছে এদিন। এই কথাগুলি মানুষের মুখে মুখে উঠেছে। এক রোগীর পরিবার জানান, এদিন রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের কিছুটা দূরে আসতেই কয়েকজন রিক্সা চালক তাদের ঘেরাও করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। রোগী নিয়ে তাদের পায়ে হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। এমন ঘটনা আগে কখনো তাদের সাথে ঘটেনি। অথচ পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার। এবং সংগঠনের নেতৃত্বদের বিষয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদি দায়িত্ব নিয়ে মিছিল বের করতে না পারে তাহলে কেন এ ধরনের উশৃঙ্খলতা শহরে সংগঠিত করেছে? পুলিশের উদাসীন ও দুর্বল ভূমিকা মানুষের মুখে মুখে উঠেছে।