স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ জুন : গাড়ির ধাক্কায় দুজন অল্প বিস্তারে আহত হওয়ায় পিটিয়ে গাড়ি চালককে খুন করল কয়েকজন যুবক বলে অভিযোগ। ঘটনা কৈলাসহরের কালীশাসন চা বাগানে। কৈলাসহরের কালীশাসন চা বাগান এলাকায় একটি মারুতি গাড়ি দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে দুজনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি পাকা ড্রেনে পড়ে যায়। গাড়ি ড্রেনে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই গাড়ির চালক সহ গাড়ির ভিতরে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড়ে চা বাগানের ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে উত্তেজিত কিছু যুবক গাড়ির চালক সহ গাড়ির ভিতরে থাকা মানুষদের চা বাগানের ভিতরে খুঁজতে থাকে। দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুঁজির পর চা বাগানের ভিতরে গাড়ির চালককে পেয়ে উত্তেজিতরা বেধড়ক ভাবে মারধর করে চা বাগানের ভিতরে মৃতদেহ ফেলে চলে যায়।
অন্যদিকে গাড়ির ধাক্কায় চা বাগান শ্রমিক লগেন উরাং-এর পা ভেঙ্গে যায়। উত্তেজিতরা গাড়িটিতে আগুন দিয়ে গাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে গাড়ির চালক প্রদীপ দাসের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, গাড়ির চালক প্রদীপ দাসের। বাড়ি কুমারঘাটের রতিয়াবাড়ি এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে কৈলাসহরের দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে গাড়ির আগুন নেভায় এবং গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম চা বাগান শ্রমিক লগেন উরাংকে উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার সুধামবিকা আর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এল ভাংলিমা দারলং, কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার। পুলিশ মৃতদেহের চিহ্নিত করনের কাজ চলাকালীন হঠাৎ করে গাড়িতে থাকা আরেক যাএী নির্মল দাস নামে এক যুবক চা বাগানের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ নির্মল দাসকে কৈলাসহর থানায় নিয়ে যায়। নির্মল দাসের বাড়ি পেচারতল বাজার এলাকায়। নির্মল দাসের কাছ থেকে জানা যায় যে, গাড়িতে মোট তিনজন ছিলো। গাড়ির মালিক প্রদীপ নিজেই ছিলো এবং প্রদীপ দাস নিজেই গাড়ি চালিয়েছিলো এবং গাড়ির চালক প্রদীপের পাশেই গাড়িতে বসেছিলো। গাড়ির পিছনে দীপন দেবনাথ নামে আরেক যুবক ছিলো। দীপেনের বাড়ি কুমারঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় গোটা কৈলাসহর মহকুমায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।