স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ মে : স্বামী যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার পরেও বাড়তি পনের জন্য নির্যাতন এক গৃহবধূর উপর। ঘটনা আগরতলা শহরের পূর্ব মহিলা থানার অন্তর্গত ধলেশ্বর ১ নং রোড এলাকায়। শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সম্মেলন করে গৃহবধূ এবং গৃহবধূর পিতা জানান, গত কুড়ি ফেব্রুয়ারি ওনার মেয়ের বিয়ে হয় আগরতলা ধলেশ্বর ১ নং রোডের বাসিন্দা সুজিত সাহার ছেলে শুভঙ্কর সাহার সঙ্গে। বিয়ের সময় সমস্ত আসবাবপত্র ও ১১০ গ্রাম স্বর্ণালংকার দিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের এক সপ্তাহ পর থেকে উনার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে শশুর বাড়ির লোকজন। শশুর, শাশুড়ি ননদ সহ সকলে মিলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ১০ লক্ষাধিক টাকা নগদ দাবি করে গৃহবধূর পিতার কাছে।
এই দশ লক্ষ টাকা শ্বশুর বাড়িতে দোকান তোলার করার জন্য দিতে দাবি করেন। কিন্তু এতে সম্মত না হওয়ায় গত ১৪ মার্চ রং খেলার দিন শশুর শাশুড়ি ও ননদ মিলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখে গৃহবধূকে। তারপর দাবি করে গৃহবধূর পিতা যাতে ফ্লাট কিনে দেয় তাদের। কিন্তু তাতেও গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন রাজি না হওয়ায় গত ১৬ এপ্রিল সকালবেলা শশুর বাড়ির লোকজনের নব গৃহবধূকে আবারো দরজা জানালা বন্ধ করে মারধর করে। এমনকি জুতো দিয়ে বেধড়ক মারধর করে স্বামী। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে গৃহবধূ পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে উত্তর পায়নি। ১৭ এপ্রিল সকাল দশটা নাগাদ সকলের অগোচরে নিজের প্রাণ বাঁচাতে রামনগর দুই নম্বর বাড়িতে চলে আসে। তারপর গত নয় মে পূর্ব আগরতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারপর পাল্টা মামলা করে গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপর পুলিশ দুপক্ষকে ডেকে থানায় নিয়ে গেলে গৃহ বধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করেন গৃহবধূ নাকি নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন। এর পাল্টা জবাবে গৃহবধূ জানিয়েছেন, উনার মাঝেমধ্যে পেটের ব্যাথা হয়। সেজন্য তিনি নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের কাছে জানতে চায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হবে ওষুধ খাওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। এর জন্য সম্পর্কের উপর কাটা হওয়া কোনো কারণ দেখছে না বলে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে কোন মীমাংসা না হওয়ায় গোটা বিষয়টি এখন তদন্তে রয়েছে। গৃহবধূ এবং গৃহবধূর পিতার দাবি পুলিশ যাতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে।