স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ মে : ন্যায় মিলছে না শহীদ বীর জওয়ান শম্ভু লাল সাতমুড়ার বোনের। ২০১৬ সালে ২২ নভেম্বর জম্বু ও কাশ্মীরে মাইন বিস্ফোরণে শহীদ হয়েছিলেন বিএসএফ শম্ভু লাল সাতমুড়া। তাদের বাড়ি আগরতলা পূর্ব থানাধীন সুভাষ নগর এলাকায়। তার বোন মৌসুমী সাতমুড়া বৃহস্পতিবার আগরতলা প্রেসক্লাবে মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তার মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, উনার ভাই শম্ভু লাল সাতমোড়া উনার বৌদি মাম্পি দাস সাতমুড়াকে বিয়ে করার পর একদিনের জন্য সুখী হয়নি।
বিভিন্ন সময় পরিবারের অশান্তি ঘটতো। উনার ভাইকে বিভিন্ন ভাবে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত। বিশেষ করে উনার বৌদিকে সহযোগিতা করতেন বৌদির বাপের বাড়ির আত্মীয় বিশ্বনাথ দাস। তিনি সিপিআইএম নেতা ছিলেন তৎকালীন সময়ে। তারপর উনার বাপের বাড়ি লোকজন জোর করে এনে বৌদিকে শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন ঠিক থাকার পর আবার পালিয়ে যায়। তারপর ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য তার ভাইকে চিঠি পর্যন্ত লিখে। এর মধ্যেই এক মাস পর শহীদ হয় উনার ভাই।
তারপর সুযোগ বুঝে উনার বৌদি তার ভাইয়ের সমস্ত কাগজপত্র হাতিয়ে নিয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে যায়। বিশেষ করে সরকারি চাকরি ও অর্থ পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। তারপর এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে এবং বাড়িতে এসে সুদীপ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেছেন। সুদীপ ভট্টাচার্য বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। অভিযুক্ত সুদীপ বিভিন্ন কায়দা করে ভুয়া ভাবে ভারতীয় সার্টিফিকেট বের করে নিয়েছেন। বর্তমানে সুদীপ উনার বৌদির স্বামীর মর্যাদা নিয়েছে। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু থানা মামলা না নেওয়ায় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন গত ১০ দিন আগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ন্যায্য বিচার মিলেনি বলে দাবি করেন তিনি।