স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ মে : সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরে ভুলে খেসারত ভুগতে হচ্ছে ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে। বুধবার খবর প্রকাশের পর বলা যায় – কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে এসেছে। বৃদ্ধার বাড়ি উত্তর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌতম কলোনি এলাকায়। সামাজিক ভাতা থেকে বঞ্চিত অসহায় এই বৃদ্ধার নাম কল্পনা দেবনাথ। গত বছরখানেক আগে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। প্রতি মাসে ভাতা পাওয়ার আশা বুকে নিয়ে তিনি ব্যাংকে আসছেন ঠিকই। কিন্তু ব্যাংক থেকে ফিরে যাচ্ছেন শূন্য হাতে।
টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না ঔষুধ। গাড়ি ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু ১০ টাকা না থাকায় গাড়িতে চড়তে পারেন না তিনি। তিন মাস ধরে এই ৯০ বছর বয়সে হেঁটে হেঁটে ব্যাংকের দরজায় কড়া নাড়ছেন তিনি। এই খবর প্রকাশিত হতেই বৃহস্পতিবার বিধায়ক সুশান্ত দেব বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে যান। এবং দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর নেন এই বিষয়ে। তারপর তিনি জানতে পারেন দপ্তরের ভুলের কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে। দপ্তর দুই বছরের সামাজিক ভাতা বৃদ্ধাকে অগ্রিম ব্যাংক একাউন্টে দিয়ে দেয়। ফলে বর্তমানে সামাজিক ভাতা ব্যাংক একাউন্টে না পাওয়ায় বারবার চক্কর কাঁটছেন ব্যাংকে গিয়ে। বুধবার ব্যাংকে যাওয়ার সময় গাড়িতে উঠতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলেও জানান বিধায়ককে। বিধায়ক জানান, বৃদ্ধার পরিবার সমস্ত রকম সরকারি সহযোগিতা পেয়েছে। সামাজিক ভাতা অগ্রিম ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যাওয়ায় বর্তমানে তিনি সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন না। তবে প্রশ্ন হল দীর্ঘ দু বছর কিভাবে একটি দপ্তর এভাবে ভুল করে গেল? এই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে আজ অসহায় বৃদ্ধাকে।