Friday, April 19, 2024
বাড়িরাজ্যআন্দোলন হবে আগামী দিনে আরও বেশি আক্রমনাত্মক : তপন সেন

আন্দোলন হবে আগামী দিনে আরও বেশি আক্রমনাত্মক : তপন সেন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ মে : ২০১৮ সাল থেকে বিজেপির বর্বরতা, লুটপাট, গুন্ডামী এগুলি এখন ত্রিপুরা রাজ্যে কমে নি। এ ধরনের বর্বরতা এবং লুটপাট দেশে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বরং শ্রমজীবী অংশের মানুষ যে আর্থিক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে বাঁচে, তার উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে বিজেপি। স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরে যা কিছু গড়ে উঠেছিল সবকিছু ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি সরকার

। আর বিজেপি ‘র বর্বরতা পাশ কাটিয়ে এখন মানুষ এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। যার প্রতিফলন প্রকাশ্য সমাবেশে প্রত্যক্ষ করা গেছে। এর মানে মানুষ বর্বরতার পক্ষে নয়। শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সি আই টি ইউ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন প্রকাশ্য জনসমাবেশে  বক্তব্য রেখে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে বিগত দিনে যা গড়ে উঠেছে সবগুলি পুঁজিবাদীদের স্বার্থে সাম্রাজ্যবাদীরা ধ্বংস করতে চাইছে। গত চার বছরে মানুষ আগুন হজম করেছে। আর নিরন্তর কয়লা প্রসাবের যন্ত্রণা উপভোগ করছে বলেও জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের কোন মন্ত্রী কোনরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর একজন জয়েন্ট সেক্রেটারি আছেন, তিনি রিপোর্ট করেন প্রধানমন্ত্রী কাছে। আরে এটাই স্বৈরাচারী শাসনের প্রতিফলন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদিকেও নিজের থুতু নিজেকে চাটতে হয়েছে।

এর মধ্যে অন্যতম  উদাহরণ হলো কৃষি আইন। তাই দেশের শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে হবে। আবেগপ্রবণ আন্দোলন হলে হবে না। আন্দোলন হতে হবে সচেতন মূলক। যা মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা এবং প্রতিরোধ তৈরি করবে। আর এর জমি তৈরি হয়ে আছে ত্রিপুরায়। আর এই আন্দোলন হবে আগামী দিনে আরও বেশি আক্রমনাত্মক। ইতিমধ্যে এই সম্মেলন থেকে সেই দিশা খুঁজে নিতে হবে বলে জানান তিনি। মানুষ ভেবেছিল দিল্লি সরকার একটি ইঞ্জিন, আর রাজ্যে যদি আরেকটি ইঞ্জিন হয় তাহলে সোনা দিয়ে ত্রিপুরাকে মোরে দেবে বিজেপি। তাহলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আর এখন মানুষের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। মানুষ ঠকে গেছে, তা উপলব্ধি করছে। চার বছরে শুধু অকর্মণ্যতা করছে বিজেপি। নির্বাচনের সময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার ঠিক উল্টো পথে চলছে বিজেপি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, ভোটের অধিকার লুট, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা, জাতি উপজাতিকে আলাদা করা, এগুলো ছাড়া আর অন্য কোন কাজ করেনি বিজেপি বলে জানান বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, দেশে কাজ নেই, খাদ্য নেই, মানুষ অনাহারে আছে। মানুষের কথা শুনবার কেউ নেই। আন্দোলনকে সম্প্রসারিত করতে আহ্বান জানান। এবং বলেন দেশের পরিস্থিতির মধ্যে যেমন পরিবর্তন আসছে, একইভাবে ত্রিপুরার পরিস্থিতির মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে। এটাই বিজ্ঞান। মানুষ নতুন শিক্ষায় শিক্ষিত। আর পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। পরিবেশে মধ্যে নতুন পরিবর্তন আসছে বলে জানান তিনি। ২০৪৭ পর্যন্ত বিপ্লব কুমার দেবকে কেউ দায়িত্ব পালন করার অধিকার দেয়নি। মানুষ পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু যারা বিভ্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালে ভোট দিয়েছিল তার বড় অংশ কংগ্রেসের ভোটার। এর আগে কংগ্রেস উপজাতি সমিতিকে নিয়ে ৪০-৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, বিজেপির ভোট ছিল পাঁচ ভাগের নিচে। এবার দেখা গেছে কংগ্রেসের ভোট আড়াই ভাগের নিচে চলে এসেছে। আর ৪০ ভাগ ভোট বামফ্রন্টের দিকে আসে নি, বিজিপির দিকে গিয়েছিল। তখন তাদের পাঁচ ভাগ ৫০ ভাগ হয়েছে। বামফ্রন্টের ৫০ ভাগ ভোট ৪৫ ভাগ হয়েছে। এভাবেই বিরোধী দলনেতা হিসেব তুলে ধরেন ২০১৮ -এর। এদিন প্রকাশ্য জনসমাবেশের আগে সি আই টি ইউ রাজ্য কার্যালয় থেকে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলটি  শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন এর সামনে এসে জমায়েত হয়। জন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে, সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন প্রকাশ্য জনসমাবেশের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য