স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৯ মে : ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ১৯৭৬ সালে ২১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডাররা হচ্ছে ভারত সরকার ৫০ শতাংশ, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ৩৫ শতাংশ এবং ত্রিপুরা সরকার ১৫ শতাংশ। আগরতলা স্থিত অভয় নগরে ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়টি অবস্থিত। ত্রিপুরা রাজ্যের আটটি জেলায় ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের দেড় শতাধিক শাখা, ১২ টি ইউএসবি এবং ৩ টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিং এবং জেনারেল ম্যানেজার অনুপ কুমার সাহা শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সাফল্য তুলে ধরেন। এই অর্থবছরে গ্রামীন ব্যাংকের মোট ব্যবসা ১৩.৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্থবছরের ১২৩৯৮.৫৫ কোটি টাকা থেকে এবছর ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৪০৮৫.১৪ কোটি টাকা। বর্তমান অর্থবছরে আমানত ১৪.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ শে মার্চ যা ছিল ৮৮০০.৮১ কোটি, ২০২৫ সালের ৩১ শে মার্চ বেড়ে হয়েছে ১০০৬৬.০০ কোটি টাকা। তবে এই আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কের সি ডি অনুপাত কিছুটা কমে গেছে। ৩১ শে মার্চ ২০২৪ সালে যা ছিল ৪০.৮৮ শতাংশ, কিন্তু ২০২৫ সালের ৩১ শে মার্চ কমে হয়েছে ৩৯.৯৩ শতাংশ।
ব্যাঙ্ক পিএনবি, মেটলাইফ, বাজাজ, কানাড়া, এইচএসবিসি, কেয়ার এর মতো থার্ডপার্টির প্রোডাক্ট বিক্রি জাতীয় অন্যরকম সাবস্টেনশিয়্যাল কমিশনের মাধ্যমে ১.৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে। তিনি আরো জানিয়েছেন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক ডিজিটাল অগ্রগতির দিকে বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করছে। এর জন্য ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক ৩৭ জন নতুন বিসি এজেন্ট নিয়োগ করেছে। ত্রিপুরার মানুষকে ৪৭৬ টি বিসি পয়েন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করছে। এর বাইরে ৯৮ জন সক্রিয় বিসি সখি কাজ করছে। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা গুলি তত্ত্বাবধানে সাতটি জায়গায় সেলফ পাসবুক আপডেট মেশিন বসানো হয়েছে। whatsapp ব্যাংকিংও রূপায়িত করা হয়েছে। ব্যাংকের ৮৫ টি শাখায় এয়ারটেল আর এফ ব্যবস্থাপনা ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোতেও তা পাইপ লাইনে আছে। ঋণ মুক্ত পোর্টাল চালু করা হয়েছে। অটো অ্যাকাউন্ট ভালিডেশন রূপায়িত করা হয়েছে। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরো জানিয়েছেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মের দিকও তারা গুরুত্ব দিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজ্যের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সিএম রিলিফ ফান্ডে বড় অংকের টাকা সাহায্য বাবদ তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের পক্ষ থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্মকান্ডে শামিল হয়েছে।