স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মে : হাসির খোরাক স্মার্ট সিটি! বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘণ্টা খানেকের ঝড় বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহর ও শহরতলির বেশ কিছু এলাকা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জমা জল নামাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা আগরতলা পুর নিগম ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পাম্প মেশিন গুলি চালু করা হয়। কর্মব্যস্ত দিনে শহরের বুকে বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় অফিস, স্কুল ফেরৎ কর্মী, ছাত্র ছাত্রীদের।
জলের কারণে আটকে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি। যান জট দেখা দেয় শহরের বেশ কিছু রাস্তায়। নির্ধারিত রুট পরিবর্তন করে অনেকেই এদিন জল ভেঙ্গে বাড়ি ফেরেন। শকুন্তলা রোড, আর আই এম এস, বিদুরকর্তা চৌমুহনী যাওয়ার রাস্তা, রবীন্দ্র ভবনের সামনের রাস্তা, প্যারাডাইস চৌমুহনী, মেলারমাঠ, মন্ত্রীবাড়ি রোড, উইমেনস কলেজ, গনরাজ চৌমুহনী, রাম ঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন সড়ক, কামার পুকুর পাড়, কল্যাণী সহ বেশ কিছু এলাকা জল মগ্ন হয়ে পড়ে। ধলেশ্বর এলাকায় একাধিক রাস্তা জল মগ্ন হয়ে বাড়ি ঘরে জল প্রবেশ করে। ঘণ্টাখানেকের ঝড় বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ার ফলে সমস্যায় পড়েন বাসিন্দা থেকে যান চালক ও সাধারণ মানুষ। ডাবল ইঞ্জিনের সাথে যুক্ত হয়েছে ট্রিপল ইঞ্জিন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দীর্ঘ পাঁচ মাসে ফানুস হয়ে গেছে আগরতলা পুর নিগমে। আবারও আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে বৃহস্পতিবার। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন গত কয়েকদিনে যারা রাস্তায় নেমে আগরতলা শহর জল মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা প্রতিশ্রুতি কেন বাস্তবায়ন হয়নি। শুধুমাত্র ময়দানে নেমে ভাষণে সীমাবদ্ধ ছিল সেইসব নেতৃত্ব। যা বাম আমলের মত রাম আমলেও কলঙ্কিত করে দেখিয়েছে এদিন। গোটা শহরে সৃষ্টি হয় ট্র্যাফিক জ্যাম। আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই দিন ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স ছিল বাংলাদেশের এক আশঙ্কাজনক রোগী। রোগীকে বাঁচাতে এদিন চিৎকার করতে হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স চালককে। কিন্তু কের চৌমুহনী এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা এতটাই বেলাগাম ছিল যে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে এগিয়ে আসতে বিলম্ব হয় ট্রাফিক বাবুদের।