স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ মে : রসিকতাকে হার মানিয়ে দেবে সুশাসন জামানার রাষ্ট্রবাদী জনপ্রিয় বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন। তিনি বক্সনগরের বিধায়ক। সাদা পাজামা পড়ে চোখে চশমা দিয়ে তিনি একজন মান্যগণ্য বিধায়ক। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এলাকায় ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করেন। কিন্তু তিনি গরিব বিধায়ক! কথাগুলি শুনতে অনেকটাই অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব তথাকথিত জনপ্রিয় বিধায়কের জন্য। কারণ তিনি এলাকাবাসীর কাছে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলেন, তিনি গরিব। যার কারণে একজন জটিল রোগে আক্রান্ত নাবালকের চিকিৎসা করতে সহযোগিতা না করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। বক্সনগর কলসীমুড়ার ছয় নং ওয়ার্ড এলাকার সুধাংশু দাসের ছেলে পূর্ণ দাস মাত্র ছয় বছর থেকে একটি জটিল রোগে ভুগছে।
তার চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে খরচ হয় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। বর্তমানে তার বয়স ১৫। বাবা দিনমজুর। তার মা জয়ন্তী সরকার ছেলেকে নিয়ে বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেনের কাছে গিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন বিধায়কের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা জন্য। কারণ জটিল রোগের চিকিৎসা করতে পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। তখন এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক জয়ন্তী সরকারকে বলেছেন, তিনি নিজেই গরিব। নিজেই চলতে পারেন না। সহযোগিতার প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে যাওয়ার কথা বলেন। এই কথা বলে মুখ ফিরিয়ে নিলেন তিনি।
নিরুপায় হয়ে বিধায়কের বাড়ি থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন জয়ন্তী সরকার। সংবাদমাধ্যমের দারস্থ হয়ে এই বিষয়ে তিনি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের মানুষের আয় উপার্জন গত সাত বছরে কতটা বেড়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ মন্ত্রী বিধায়কদের মাসিক বেতন গত সাত বছরে দুবার বেড়েছে। বর্তমানে বিধায়কের ভাতা বেড়ে হয়েছে লক্ষাধিক টাকার কাছাকাছি। অথচ জনগণের ভোটে জয়ী হওয়া বিধায়ক বাবু জনগণের সেবায় পকেট থেকে দু পয়সা বের করতে চান না। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো বিধায়ক তহবিল থেকেও তিনি সহযোগিতা করতে পারতেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হল মহিলার অভিযোগ “বিধায়ক গরিব”।