স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ মে : মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও আধিকারিকদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের ইচ্ছায় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সিদ্ধান্তক্রমে দিব্যাঙ্গনদের উন্নয়ন, আই টি পলিসি, আদিম জাতি উন্নয়নের জন্য প্রকল্প, স্টেট হেলথ পলিসি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার মহাকরণের সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলির মধ্যে রয়েছে যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তাদের জন্য সরকার বড় কিছু করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ রয়েছে শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা করার। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের আগামী দিনে চাকুরী ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা সহ সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে তাদের উন্নয়ন করার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। আগামী কিছুদিনের মধ্যে তাদের জন্য সরকার প্রকল্পের ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি অফিস আদালতে গেলে যাতে তাদের কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। সরকার তাদের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো তারা যাতে আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আদিম জাতি উন্নয়নের জন্য রিয়াংদের প্রতিনিধি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন কাঞ্চনপুর থেকে নির্বাচিত বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং।
আদিম জাতি প্রতিনিধি হিসেবে প্রেম কুমার রিয়াং অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের রিয়াং রয়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার। তারা বর্তমানে পশ্চিম জেলা এবং সিপাহীজলা জায়গা ছাড়া বাকি ৬ টি জেলায় বসবাস করছে। তাদের আর্থিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়গুলি আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে আনা হবে বলে জানান তিনি। নতুন মন্ত্রিসভায় আরো একটি সিদ্ধান্ত হলো ন্যাশনাল হেলথ পলিসি ২০১৭ অনুযায়ী ত্রিপুরায় স্টেট হেলথ পলিসি তৈরি হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে স্টেট হেলথ পলিসি আনা হবে বলে জানান তিনি। আগামী দুমাসের মধ্যে হেলথ পলিসি হবে বলে জানান মন্ত্রী। ত্রিপুরায় ২০১৭ সালে একটা আইটি পলিসি তৈরি হয়েছিল। সেটা ২০২২ সালে সম্প্রতি মেয়াদের সময়সীমা চলে গেছে। নতুন করে বাইরের কম্পানিগুলির সাথে কথা বলে রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের জন্য আইসিটি পলিসি করা হবে। এটি আই টি সেক্টর ছেলেমেয়েদের জন্য আই টি ফ্রেন্ডলি পলিসি হবে। এতে রাজ্য আর্থিকভাবে অগ্রগতি হবে বলে জানান সুশান্ত চৌধুরী।