স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ এপ্রিল :বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা আচমকা গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফিরে আগরতলা স্মার্ট সিটি অফিস, জল বোর্ড অফিসে যান। অফিসের কাজকর্ম পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ সরকারি হাসপাতাল এবং অফিস নিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে সব সময় নানা অভিযোগ লক্ষ্য করা যায়। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীদের সাথে। হাসপাতালের কাজকর্ম সঠিকভাবে চলছে কিনা এবং রোগীরা নিয়মিত পরিষেবা পাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী চলে আসেন আগরতলা স্মার্ট সিটি অফিস এবং জল বোর্ড অফিসে। মুখ্যমন্ত্রী আসার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন আগরতলা স্মার্ট সিটির আধিকারিক শৈলেশ কুমার যাদব। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন স্মার্ট সিটির আধিকারিক এবং কর্মীদের সাথে। স্মার্ট সিটির কাজকর্ম কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে অবগত হন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের অ্যাটেনডেন্স খাতা খতিয়ে দেখেন।
বিভিন্ন সময় পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠার পেছনে মূলত কর্মীদের অনুপস্থিতির কারণ রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, তিনি পরিদর্শনে বের হয়ে লক্ষ্য করেছেন বহু খামতি রয়েছে। কিছু কিছু স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন যারা মাঠে ময়দানে কাজ করছেন, আবার হাসপাতালে ভেতরও কাজ করছেন। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠে সরকারি হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ বিষয়গুলি বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। যে বিষয়গুলি ত্রুটি রয়েছে সেই বিষয়গুলি নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেই কথা বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিবের সাথে। পাশাপাশি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত করার দিকে নজর দিতে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জল বোর্ড ও স্মার্ট সিটির অফিসে গিয়ে কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। যেসব বিষয়গুলি নজরে উঠে এসেছে সেগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিটের পর সরকারি হাসপাতাল এবং সরকারি অফিস কর্মসংস্কৃতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসে।