স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ এপ্রিল :কাশ্মীরের পেহেল গ্রামে যে সন্ত্রাসের সংঘটিত হয়েছে এটা অত্যন্ত বর্বোচিত এবং অমানবিক। নিন্দা করার ভাষা জানা নেই। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে কাছে জম্বু কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ঘটনা নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমান কেন্দ্র সরকার জম্বু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে শান্তি ফিরিয়েছে বলে দাবি করেছে। এবং রাজ্যটাকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত রাজ্য করেছে। কিন্তু দেখা গেছে ২০১৯ সালে এই সরকারের উদাসীনতার কারণে পুলওয়ামাতে ৪০ জন সেনা শহীদ হয়েছিলেন। তারপরও বিশেষ করে প্রত্যেক মাসেই শহীদ হচ্ছেন বহু সেনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। তারপর গত মঙ্গলবার জম্বু কাশ্মীরের পয়েলগাওয়ে প্রাণহানি হল এতগুলি পর্যটকের।এখন দেশবাসীকে কি জবাব দেবে প্রশ্ন করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এটা অন্তঃসারশূন্য আত্মসন্তোষ্টীর অবস্থান নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পদক্ষেপ নিলে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের আরো সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য নিজেরা নিজেদের বুক বাজাচ্ছেন, পিঠ চাপড়াচ্ছেন এবং সাফল্যের জয় ধামকা বাজিয়ে মানুষকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। তাতে সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না।
ফলে দিনের পর দিন কেন্দ্রশাসিত জম্বু কাশ্মীরের মানুষ আয় উপার্জন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই নিচের দিকে যাচ্ছে। সুতরাং জম্বু কাশ্মীরে অতিমাত্রায় সতর্ক থাকা দরকার। কিন্তু সতর্ক না থাকায় চোখের সামনেই এই ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্যে আরও দাবি করেন, মঙ্গলবার যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোন জায়গায় কি সমস্যা রয়েছে সেটা বের করতে হবে। আর এটা না করে যদি শুধু শুধু ছুটাছুটি করে এবং গরম গরম কথা বলে তাহলে মানুষের মন ঘুরানো যাবে না বলে জানান তিনি।