Friday, May 2, 2025
বাড়িরাজ্যএক দেশ এক ভোট দ্বারা একনায়কতন্ত্র তৈরি করতে চাইছে সরকার : জিতেন্দ্র

এক দেশ এক ভোট দ্বারা একনায়কতন্ত্র তৈরি করতে চাইছে সরকার : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ এপ্রিল : এক দেশ এক ভোট দ্বারা একনায়কতন্ত্র তৈরি করতে চাইছে সরকার। এ আইন কার্যকর করতে পারবে না সরকার। সংবাদ মাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা পলিটব্যুরোর সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, এই দেশের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চাইছে আরএসএস ও বিজেপি।

দেশে এখন একতন্ত্র তৈরি করার জন্য এক দেশ এক ভোট আইন পার্লামেন্টে এনেছে। এন ডি এ সরকারের যে শক্তি তা দিয়ে পার্লামেন্টে এই আইন পাস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যেকোনো রাজনৈতিক দল যে কোন নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তী সময় তারা সমর্থন হারাতে পারে, তখন কোন সরকার ভেঙে গেলে সেটা পাঁচ বছর জন্য বসিয়ে রাখা যায় না। এতে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে। তিনি আরো বলেন, এর সাথে দেশের সংবিধানের সাথে এই চিন্তাধারা সম্পূর্ণ বিপরীত। তারপরও দেশবাসীর মধ্যে একটা ধোঁয়াশা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে জনগণের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা তৈরি করা যায় তার জন্য নানাভাবে স্কুল ছাত্রদের ব্যবহার করছে এবং প্রশাসনকে অপব্যবহার করছে।

সুতরাং এই আইন কোন ধরনের অঘটন ছাড়া পাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিরোধী দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা কটাক্ষ করার বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, বিরোধী দলের প্রধান সিপিআইএমকে রুখতে মুখ্যমন্ত্রীকে তার বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোট দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে। একইভাবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও ছাপ্পা ভোট দিয়ে প্রার্থীদের জয়ী হতে হয়েছে। অপরদিকে উপ নির্বাচনে তারা যেভাবে রেগিং করেছে তাতে কাকপক্ষীও লজ্জা পাবে। তাই বাস্তব সত্যটাকে মুখ্যমন্ত্রীর আগে বোঝা দরকার। রাজ্যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও অপশাসন চলছে। সুশাসনের নামে জনবিচ্ছিন্নতা চতুর্দিকে শুরু হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত নববর্ষে গ্রামে কাজ নেই, অভাব অনাহার চলছে। এই সত্যকে ঢাকতে চাইছে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আরো বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি বলছে এক দেশ এক ভোট হলে নাকি নাগরিকদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী খুন হয়ে গেল রাজ্যে এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তিন পর্যন্ত ব্লক অফিস ঘেরাও করে রেখেছে শাসক দলের দেবতুল্য কার্যকর্তারা। তাই ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ বিজেপি-র সত্যের অপলাপ ঘটানো, গণতন্ত্র সংবিধানকে খাটো করা মানুষের অধিকার নিয়ে এভাবে বেসুরা কথা বলা মানুষ গ্রহণ করবে না। মুখ্যমন্ত্রী সত্যকে সত্য বলুন। এতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। অতীতে ভুলভ্রান্তি করলেও সেটা শুধরানো গেলে এই সরকারকে গ্রহণ করবে মানুষ। না হলে এই সরকারের দুর্বলতা আরো বাড়তে থাকবে, কেউ রক্ষা করতে পারবে না বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!