স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ এপ্রিল :রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে রাজ্যে বিভিন্ন মহকুমা কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব দেখেছে মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সম্পদ। এদিনের কাল বৈশাখী ঝড়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিড়ে পড়ল বসত ঘর এবং গির্জায়। ঘটনা সোমবার ভোরে চড়িলাম ব্লকের বিশ্রামগঞ্জ আমতলী ভিলেজের ৪ নং ওয়ার্ড কড়ুইমুড়া এলাকায়। এদিন দমকা হাওয়া সাথে মুষলধারে বৃষ্টি এবং ঘনঘন বজ্রপাত শুরু হয়।
বজ্রপাতের জেরে ১১,০০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিঁড়ে গির্জায় এবং এক বসত ঘরে পড়ে। গদাংতি দেববর্মার বসত ঘরের টিনের ছাউনিতে পড়ার পর চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় বিশ্রামগঞ্জ ইলেকট্রিক সাব ডিভিশন অফিসে। তখন বিদ্যুৎ নিগম থেকে কেউ ঘটনাস্থলে আসার জন্য ছিলেন না। পরে সকাল ১১ টা পর্যন্ত কোন বিদ্যুৎ কর্মের দেখা পাননি গাদাংতি দেববর্মার পরিবার। গোটা পরিবার বিদ্যুৎ আতঙ্কে বাড়ির বাইরে দিন কাটিয়েছেন বলা যায়। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে যাতে গাছটি সরানোর জন্য উদ্ধারের কাজে হাত লাগায় প্রশাসন। নাহলে যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এদিনের কালবৈশাখী ঝড়ে বিশালগড় ও বিশ্রামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয় হতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙ্গে পড়ছে পরিবাহী তারে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতিক খুঁটি। এদিকে কালবৈশাখীর তান্ডব লক্ষ্য করা গেছে আগরতলা শহরেও। রবিবার মাঝরাত থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে ছিল বজ্রপাত।
ভোর বেলায় আগরতলা শহরে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। উমাকান্ত বয়েজ হোস্টেলের পাশে একটি বিশাল আকৃতির গাছ ভেঙে পড়ে। এই গাছ ভেঙে পড়ে হোস্টেলের সীমানার দেওয়াল ভেঙে যায়। অপরদিকে এই বিশাল আকৃতির গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা আটকে যায়। খবর পেয়ে প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কাজে হাত লাগায় প্রশাসন। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোন খবর নেই। আরো জানা যায় গাছটি বহু পুরনো গাছ ছিল। এই কাজটি ভেঙে পড়ে ৫০ ফুট উঁচু দেওয়াল ভেঙে পড়ে। হোস্টেলের ভেতর আরো বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে। অবিলম্বে গাছগুলি যদি কাটা না হয় তাহলে বিপদজনক অবস্থা হতে পারে বলে জানা যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে। বিশালগড় ও সদর মহকুমা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব লক্ষ্য করা গেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত লক্ষ্য করা গেছে। খবর লেখা পর্যন্ত কারুর মৃত্যু কিংবা আহত খবর নেই। এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে আঘাত করা শহরে বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও জল দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জলের মোটর যারা দ্রুত জল নামানোর চেষ্টা করে প্রশাসন। এদিকে জিবি হাসপাতালে জরুরি বিভাগও জল জমে যায়। দিশেহারা হয়ে পড়ে রোগী এবং রোগীর পরিবার সহ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সব মিলিয়ে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে এদিন।