স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২০ এপ্রিল :আচমকা উত্তেজিত হয়ে উঠল ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। সিধাই নন্দলাল দাস পাড়ার জঙ্গল থেকে আটক দুই বাংলাদেশি চোর। তাদের কাছ থেকে আটক ধারালো অস্ত্র। জনরোষে পড়ে গুরুতর আহত দুই চোর। জানা যায়, সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ-এর চোখে ফাকি দিয়ে প্রতি নিয়ত বাংলাদেশী চোর তার কাটার এপারে এসে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে। তার ফের প্রমান মিলল সিমনা এলাকায়।
সিমনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া সিধাই নন্দলাল দাস পাড়ার জঙ্গল থেকে দুই বাংলাদেশী চোরকে আটক করে এলাকার লোকজন। জানা যায়, তার কাটা বেড়া অতক্রম করে তারা এপারে আসে চুরি করতে। কিন্তু তারা ফিরে যেতে না পাড়ায় আশ্রয় নেয় জঙ্গলে। তারপর রবিবার সকালে এলাকার এক কৃষক তিন চোরকে জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে থাকতে দেখে খবর দেয় স্থানীয়দের। তারা এসে জঙ্গল ঘেরাও করে তাদেরকে আটক করে। তারপর এলাকার লোকজন দুই বাংলাদেশী চোরকে আটকে করে গন ধোলাই দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিওপি-র বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দুই বাংলাদেশী চোরকে স্থানীয়দের হাত থেকে রক্ষা করে নিজেদের হেপাজতে নেয়।
ধৃতদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র সহ কাঁটা তারের বেড়া কাটার সরঞ্জাম। এলাকার সমরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি জানান এলাকাবাসী প্রতিদিন চোরের আতঙ্কে রাত কাটায়। বছরে কয়েকবার চুরির ঘটনা সংঘটিত হয় গ্রামে। বিশেষ করে বহু গরু চুরি হয়েছে বিগত দিনে। শনিবার রাতে তিন চোর সীমান্তের এপারে এসে আত্মগোপন করে থাকে। রবিবার সকালে যখন নজরে আসে তখন তাদের আটক করতে এলাকাবাসী উদ্যোগ নেয়। তখন এক চোর বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকি দুই চোরকে আটক করেছে স্থানীয়রা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ধারালো অস্ত্র। তারা আরো জানান বছরে ১২ মাসের মধ্যে নয় মাসে তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ থাকে না। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের সাথে কথা বললে তাদের সাফ জানিয়ে দেন মন্ত্রী গেলে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। যার কারণে চোরের উপদ্রব আরো বেশি বেড়েছে গ্রামে। এলাকাবাসীর হাতে গুরুতর আহত হয়েছে দুই চোর। এলাকার বহু মানুষের বক্তব্য তাদের গরু চুরি করেছে তারাই। তাই তাদের জনরোষে পড়তে হয়েছে এদিন। এদিকে তারা বিএসএফের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলেন বিএসএফ সব সময় কড়া নজরদারি চালায় বলে দাবি করে, সত্যিকার অর্থে যদি কড়া নজরদারি চলতো তাহলে এভাবে চুরির ঘটনা এলাকায় হতো না। আর নয়তো অন্য কোন কারণ রয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। এদিনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা সীমান্তবর্তী এলাকায়। উত্তেজিত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা।