স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২০ এপ্রিল :জুয়াকে কেন্দ্র করে লঙ্কাকান্ড। ভাঙচুর হয় দোকানপাট। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়ন করা হল পুলিশকর্মী। ঘটনা খোয়াই থানার অন্তর্গত পূর্ব রামচন্দ্রঘাট বাজারে। এই জুয়া কান্ডের মূল অভিযুক্ত হলো বিশ্বজিৎ দাস নামের বিএসএফ কর্মী। তার বাড়ি পূর্ব রামচন্দ্রঘাট বাতাপুড়া এলাকায়। বর্তমানে আগরতলা শালবাগানে কর্মরত রয়েছেন। শনিবার রাতে বিশ্বজিৎ আগাতলা থেকে বাড়ি ফিরে পূর্ব রামচন্দ্রঘাট বাজারের জনৈক বিমল দেবের দোকানে আইপিএল খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়ার আসর বসায় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি স্থানীয়দের নজরে আসলে বাধা দিতে গেলেই শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পরবর্তী সময়ে রাত সাড়ে এগারোটার নাগাদ বিএসএফ বিশ্বজিৎ বাজারের নৈশ্য প্রহরীর সাথে ঝামেলা শুরু করে। একটা সময় স্থানীয় কিছু যুবকের সাথে তার হাতাহাতিতে শুরু হয়। তারপর স্থানীয় যুবকরা তাকে ধাওয়া করে। একটা সময় সে একটি গর্তে পড়ে যায়। তারপর বাজার কমিটির পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় যুবকদের হাত থেকে রক্ষা করা হয়। বিশ্বজিৎ দাস অল্পবিস্তর আহত হয়। মাথায় এবং পায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানান বাজার কমিটির সম্পাদক সমীর চৌধুরী।
আরো জানান, রবিবার সকালে আবার উত্তেজিত কিছু যুবক এসে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার জিতেন দেবের মিষ্টি দোকানে ভাঙচুর চালায়। এবং যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তারা হলো বাপ্পা দেব এবং সমীর চৌধুরী সহ কিছু যুবক। এদিকে আক্রান্ত জুয়ারী বিএসএফ জওয়ানের পিতার দাবি, শনিবার রাতে তার ছেলে বাড়ি ফিরে আইপিএল খেলা দেখছিল। তখন এলাকার কিছু যুবক তাকে মারধর করে এবং গুম করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যারা এই ঘটনা করেছে তারা তার ছেলেকে শেষ পর্যন্ত একটি কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়। তারপর বিশ্বজিতের পরিবারের কাছে ফোন করে এলাকার কিছু যুবক এক লাখ টাকা দাবি করে। শেষ পর্যন্ত তিনি যুবকদের কাছে জানান তার ছেলে যদি দোষ করে থাকে তাহলে প্রশাসন রয়েছে। প্রশাসনের কাছে বিচার চাইছে দাবি করেন বলে জানান। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে খোয়াই থানার পুলিশ।