স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ এপ্রিল : এবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় মধ্যে নতুন করে কলঙ্কের দাগ লাগালেন কলেজের খোদ অধ্যাপক। গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এর রেশ কাটতে না কাটতে এবার খয়েরপুর স্থিত বীর বিক্রম কলেজ অফ ফার্মাসি কলেজের বিরুদ্ধে উঠলো গুরুতর অভিযোগ। কলেজের এক অধ্যাপক এক ছাত্রকে রেগিং করেছে বলে অভিযোগ করলেন ছাত্রের পরিবার। ছাত্রটি জানান তার ডিপার্টমেন্টের এইচ ও ডি ড. আশুতোষ কুমার গত বুধবার কলেজ চলাকালীন অবস্থায় ক্লাসের মধ্যে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করে কলেজের মধ্যে কয়টি ফ্লোর রয়েছে? এর জবাবে ছাত্রটি জানান কলেজ পাঁচতারা।
তারপর ছাত্রকে তিনি বলেন গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে পাঁচতারা পর্যন্ত তাকে পায়ে হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে এবং আবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে। এভাবে কালকে তিনবার উঠানামা করানোর পর আবার যখন সিঁড়ি দিয়ে ওঠার কথা বলেছিলেন তখন ছাত্রটি হাঁপিয়ে অধ্যাপককে বলেন আমি আর পারবোনা। তারপর কলেজ থেকে ভাড়া বাড়িতে চলে আসে ছাত্রটি। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রটি। বাড়ির লোকজনেরা তাকে ফোন করে জানতে পারে সে অধ্যাপক দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছে। সাথে সাথে ছাত্রের বাবা অভিযুক্ত অধ্যাপকের কাছে ফোন করে জানতে চান কেন তার ছেলেকে এভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এর কোন জবাব দিতে পারেননি অভিযুক্ত অধ্যাপক। তিনি জানিয়ে দেন অভিযোগকারী ছাত্র তাদের কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এবং ল্যাব কোথায় রয়েছে সে বিষয়ে জানেন না। তাই এগুলি জানার জন্য তাকে উঠানামা করতে বলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলেজে এসে বিক্ষোভে সামিল হয় ছাত্রের পরিবার এবং একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের কিছু সদস্য। তারা জানান ছাত্রটি দ্বিতীয় সেমিস্টারে পাঠরত। অধ্যাপকের এমন ভূমিকায় তারা অত্যন্ত হতাশ। ১১৫টি সিঁড়ি তিনবার ওঠার আমার করার পর যেকোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং ছাত্রটিকে এভাবে ব্যবস্থা করার পেছনে মূলত লক্ষ্যই হলো রেগিং করানো। অভিভাবকরা জানান সারা জীবন অর্থ সঞ্চয় করে সেই অর্থ দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েকে কলেজে সুরক্ষিতভাবে পড়াশুনা করতে পাঠানো হয়। কিন্তু এ ধরনের রেগিং একজন অধ্যাপক দ্বারা হওয়াটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করানোর জন্য দাবি জানান ছাত্রের পরিবার। এখন দেখার বিষয় টি কতদূর গড়ায়। তদন্তে কি বের হয়ে আসে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এদিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত অধ্যাপক। ক্যামেরা পাশ কেটে গেছেন তিনি।