স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১ এপ্রিল : ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় বিবৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মের দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিসের জবাব দিতে গিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্র কলেজের শারীর বিদ্যা বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোমা চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ জানায়। বিষয়টি জানার পর ত্রিপুরা মেডিকেল শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
পরবর্তী সময় জানা যায় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার তিনজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগ ছিল অধ্যাপিকা সোমা চৌধুরী তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ একটি মামলা দায়ের করে। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ অধ্যাপিকা সোমা চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে অধ্যাপিকা সোমা চৌধুরী ওনার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাল্টা তিনি দাবি করেছেন তিনি কয়েকজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। এবং সুদ সহ সেই ঋণ তিনি পরিশোধ করেছেন। তিনি নিজের দাবির সাপেক্ষে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সেই সব কাগজপত্র বর্তমানে যাচাই করা হচ্ছে। কাগজ পত্র যাচাই শেষে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্ত শেষে অভিযুক্ত অধ্যাপিকা দোষী প্রমাণিত হলে ওনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন আরও জানান ত্রিপুরা সরকারের মেডিকেল শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখেছে। মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেন স্বচ্ছতা বজায় থাকে তার জন্য ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।