স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৮ মার্চ :ত্রিপুরা বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ এবং অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের বিরুদ্ধে অভাবনীয় আচরণের অভিযোগ তুলে বিধানসভা অধিবেশনের ষষ্ঠ দিনও বয়কট করলেন প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের বিধায়করা। বুধবার মন্ত্রী রতন লাল নাথের মুখ থেকে বের হওয়া জাত প্রসঙ্গে সগরম হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশন। একটা সময়ের পর উত্তপ্ত বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের বিধায়করা। তারপর সাংবাদিক সম্মেলন করে, ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশনের বাকি দিনগুলি বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
তারপর মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা অধিবেশনে দাঁড়িয়ে প্রধান বিরোধী দলের বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যা হয়েছে তা হয়ে গেছে। কোন সমস্যা থাকলে আসুন আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা হোক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আপিল বিরোধী দলের বিধায়কদের কানে পৌঁছালেও রীতিমতো পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন বিধানসভা অধিবেশন বয়কট অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন চলতি বিধানসভায় বিরোধীদল সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বিধায়করা আবার অংশগ্রহণ করবেন সেটা প্রশ্ন উঠে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঠিকই, কিন্তু অন্তর থেকে কেনা জানিনা। তারপরও মুখ্যমন্ত্রীর আপিলের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বয়কটের সিদ্ধান্ত বদলানো হবে না। কারণ বিরোধী দল সিপিআইএমএস সদস্যরা যখন বিধানসভা থেকে বের হয়ে আসছিলেন তখন গণতন্ত্রের হত্যা লীলা মুখ্যমন্ত্রীর চোখের সামনেই হয়েছে। তখন তিনি চুপ ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দলের বিধায়করা যখন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন তখন তিনি বিরোধীদল সিপিআইএমের বিধায়কদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাল্টা দাবি, তাঁর দলের পন্ডিত, উচ্ছৃংখলরা অধ্যক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন এবং অধ্যক্ষকেও হাত কালো করতে বাধ্য করেছে তাদের আগে সংশোধিত করুন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, বিরোধীদল সিপিআইএমের বিধায়করা দেখেছেন বিধানসভা অধিবেশনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত অসহায়। তাঁকে পর্যন্ত সম্মান দিচ্ছে না এই উশৃঙ্খলারা। তাই আগে আপনি আপনার সন্মান প্রতিষ্ঠিত করুন বলে জানান বিরোধী দলনেতা। উল্লেখ্য, তবে বলার অপেক্ষা রাখে না, বিধানসভা অধিবেশনে পরিষদীয় মন্ত্রী এবং অধ্যক্ষের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ধরনের ঘটনা বিগত দিনের সংগঠিত হতে। শুধু তাই নয় গোটা দেশে এমন বিধানসভা অধিবেশন হয়েছে কিনা সেটাও জানা নি। এক প্রকার ভাবে কলঙ্কিত হয়েছে এই বিধানসভা অধিবেশন। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন যাতে বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে কোনরকম জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।