স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ মে : অটোতে মিটার বাধ্যতামূলক লাগানোর বিষয়টি তীব্র প্রতিবাদ জানালো সিআইটিইউ। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে অটো চালক ও যাত্রীদের সাথে সরকার কথা বলার জন্য দাবি জানান সি আই টি ইউ নেতা অমল চক্রবর্তী। তিনি এদিন সি আই টি ইউ রাজ্য কার্যালয়ে ত্রিপুরা অটোরিকশা ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং ত্রিপুরার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এ সরকারের আমলে পরিবহন শ্রমিকরা কখনো আর্থিকভাবে, কখনো শারীরিকভাবে আবার কখনো মানষিকভাবে আক্রান্ত হয়ে আসছে। কিন্তু এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো ১ মে থেকে অটোরিকশায় মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এর জন্য সরকার কোন পরিকাঠামো গড়ে তুলে নি। এবং মিটারের জন্য রাজ্যে দুই ডিলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিটার নেই। অধিক দামে বিক্রি করা হচ্ছে মিটার। এমনকি মিটার সঠিক আছে কিনা তা চেকিং করতে কোন ব্যবস্থায় রাজ্যে নেই। এবং যেসব মিটার অটোতে লাগানো হচ্ছে সেসব মিটার লাগানো হলে সঠিকভাবে মাইলেজ দেবে তার কোন নিশ্চিয়তা নেই। তাই অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যের মিটার অটোর পরিকাঠামো নেই। সরকারের এ ধরনের বাধ্যতা মূলক সিদ্ধান্তে তীব্র বিরোধিতা জানানো হচ্ছে। সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে মিটার বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি পুনরায় শ্রমিক সংগঠন, অটোচালক ও যাত্রীদের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য। পূর্বতন সরকারের আমলে অটোতে মিটার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শ্রমিক সংগঠন এবং অটো চালকদের সাথে কথা বলেছে। পরবর্তী সময়ে চর্চার পর দেখা গেছে গোটা দেশে মিটার অটোর সফলতা আসে নি। আরো জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আরো বলেন, সম্প্রতি পেট্রোপণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই অবস্থায় মিটার বাধ্যতামূলক করা শ্রমিকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন সরকার বলছে অটোর স্ট্যান্ড তুলে দেওয়া হবে। অটোর স্ট্যান্ড তুলে দিলে শ্রমিকরা বিশ্রাম করার জায়গা পাবে না। এবং দৈনন্দিন কাজ, প্রাকৃতিক কাজ এসব করতে পারবে না অটো শ্রমিকরা। এটা অমানবিক সিদ্ধান্ত বলে জানান অমল চক্রবর্তী। এ সরকারটা মন্ত্রীর মুখ দেখানোর সরকার। তাই শুধু ফ্ল্যাক্সের মাধ্যমে নিজেদের চেহারা প্রচার করে যাচ্ছে। শ্রমিকরা ভয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। প্রতিবাদ করলে স্ট্যান্ডে গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে, আবার কখনও কখনও লাইনচুত্য করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি আরও এক লজ্জিত বিষয়, আগরতলা থেকে বাংলাদেশে বাস পরিষেবা চালু করেছে বলে প্রচার করা হয়েছিল। দেখা গেছে পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর আবার চালু করার সময় তারা বিদেশ দফতরের অনুমোদন না নিয়ে পরিষেবা চালু করতে চেয়েছিল। তাতে পরিষেবা চালু করতে পারে নি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সম্পাদক সমর চক্রবর্তী।