স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ মার্চ: ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাজেট সমূহের ন্যায়, রাজ্য সরকার ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর যে বাজেট পেশ করে আসছে তা প্রায় সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মত জুমলা, অসত্য তথ্য, গালভরা প্রতিশ্রুতি, শ্রুতি মধুর কিছু প্রকল্প ঘোষণা। পরবর্তী দিনগুলিতে এগুলির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৩২ হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার বাজেট বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৬.৬১ শতাংশ বেশি বলে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন।
যদিও প্রকৃত তথ্য হচ্ছে গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বৃদ্ধি মাত্র ৭.২ শতাংশ। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় এই বৃদ্ধি একেবারেই সামান্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রবক্তা প্রবীর চক্রবর্তী। প্রস্তাবিত বাজেটে আয় দেখানো হয়েছে ৩১ হাজার ৯৯৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। বাজেট ঘাটতি ৪২৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে মূলধনী ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৯০৩ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। যা আগের তুলনায় ১৯.১৪ শতাংশ বেশি।
বর্তমানের রাজ্যের ঋণ ২১ হাজার ৮৭৮.২৬ কোটি টাকা। পূর্বতন সরকারের ঋণ ছিল ১২ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ বর্তমান সরকার এই বছরকে বাদ দিলে তার শাসনকালে ঋণ করেছে ৮ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ গুপ্ত ঋণ। এতে করে দেশ বা রাজ্যের মানব সমাজের কোন উন্নতিটা সাধিত হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনের তিনি আরো বলেন বেকার সমস্যার স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।