স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : উগ্রপন্থী মুক্ত হোক, এটা জনগনের পক্ষে মঙ্গল নয়। এই সমস্যা যদি চিরতরে অবসান ঘটে তাহলে সবাই সাধুবাদ জানাবে। কিন্তু বুধবার এক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলকে চিহ্নিত করে নাম উল্লেখ না করে বললেন নাম বলছি না। বিরোধী দলের কয়েকজন সতর্ক হোন, সাবধান হোন, রেহাই পাবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীকে নাম বলতে কে আটকাচ্ছেন এবং অসুবিধায় ফেলছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা বলা হচ্ছে তিনি যেন হিম্মত রাখেন এবং সাহসী হন। কারণ রাজ্যে উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে বামপন্থীরা। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে হারানো যায় না বলে এই সন্ত্রাসবাদীদের হাত ধরে রাজ্যে বিভিন্ন শক্তি রক্তের হলি খেলেছে। বামফ্রন্ট সরকারের থাকা না থাকার বিষয় নয়, বামফ্রন্ট কখনো সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং বিচ্ছিন্নবাদকে প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু তারপরও মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে এ ধরনের কথা বলার পেছনে মূলত কি তিমির খুঁজতে চেয়েছেন সেটা ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ কারণ খুঁজবে। কিন্তু তারপরও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে বিজেপির সাথে বামফ্রন্টের মতাদর্শগত ফারাক থাকতে পারে অথচ দেশের সার্বভৌমত্ব, উন্নতি এবং সুভাতৃত্বের জন্য সৌহাদ্যের জন্য সরকারের পাশে দুহাত বাড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এভাবে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে শূন্যে হাত ছেড়ে দিলে হবে না। এতে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতাই প্রকাশ হয়। গত কয়েকদিন আগে জম্পুইজলাতে যেভাবে উগ্রপন্থীরা আত্মসমর্পণ করেছে সেটা সত্যিকার অর্থে হওয়া প্রয়োজন। নাটক নয় বলে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাল্টা বললেন বিরোধী দলনেতা। এদিকে
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার গরিব মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বলে দাবি করতেন। এ বিষয় নিয়ে ধর্মনগরের এক জনসভায় কটাক্ষ করতে গিয়ে বাটপার নাম্বার ওয়ান এবং বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীকে বাটপার নাম্বার টু বলেছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। এর পাল্টা জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, মাননীয় অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত বিশ্ববন্ধু সেন তার রুচি, শিক্ষা, সংস্কার এবং তিনি যে পরিমন্ডলে আছেন সে অনুযায়ী কথা বলেছেন। কিন্তু সিপিআইএম দলীয়ভাবে যেভাবে শিক্ষা দিয়েছে সেটা গীতা মহাভারতের মতো মান্যতা দিয়ে কাজ করেন সিপিআইএম নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থক। তাই মাননীয় অধ্যক্ষের মতো নিচে নামতে পারবেন না। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করা গেছে অধ্যক্ষের কারণে মোটর শ্রমিকরা ধর্মনগরে লাঞ্ছিত হচ্ছে। পুলিশের সামনে এই মোটর শ্রমিকদের বাড়িঘর এবং অফিস লুট হচ্ছে। তাই এই কথাগুলি বলার সময় অধ্যক্ষ সুস্থ ছিলেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অধ্যক্ষের কাজকর্ম তার দলের লোকই বিচার করছে। এবং মানিক সরকার এবং জিতেন্দ্র চৌধুরী বাটপার নাকি অন্য কিছু সেটা ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ বিচার করবে। তারপরেও অধ্যক্ষ হিসেবে বিশ্ববন্ধু সেনের প্রতি বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর শ্রদ্ধা এবং আনুগত্য থাকবে।