স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারি : আমতলী থানার অন্তর্গত নগরপাড়া এলাকার বসিন্দা শিপন সরকার। বয়স আনুমানিক ৪৮ বছর। অলিক স্বপ্ন দেখতে দেখতে শিপন একটা সময় জীবনের প্রতি দিনের কিছু সময়ের জন্য বন্ধু করে নেয় মদকে। সাতপাকে বাধা পড়লেও শিপন প্রতিদিনের সাময়িক সময়ের বন্ধু মদকে নিজের থেকে দূরে সরায় নি। বরং বিয়ের পর মদকে জীবনের পরম বন্ধু করে নেয়। একটা সময় শিপনের সংসারে ঝামেলার কারন হয়ে দাড়ায় পরম বন্ধু মদ।
ফলে একটা সময় শিপনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায় মদ আর স্ত্রীর মধ্যে এক জনকে বেছে নেওয়া। স্ত্রী আর মদের মধ্যে শিপন মদকে বেছে নেয়। স্ত্রীর পরিবর্তে মদকে জীবন সঙ্গী করে নেয় শিপন। ক্রমশ পরম বন্ধু মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে শিপন। একটা সময় পরিবারের লোকজন মদ থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয় সিপনকে। কিন্তু শিপন মন থেকে পরম বন্ধু মদকে ভুলতে পারে নি। পরিবারের লোকের শত চেষ্টার পরও শিপন পুনঃরায় পরম বন্ধু মদকে জীবনের পথ চলার সঙ্গী করে নেয়। মদকে জীবন সঙ্গী করে জীবন কাটাতে থাকে শিপন।
কিন্তু পরম বন্ধু মদ শিপকে ধীরে ধীরে মৃত্যু পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা ভুলেও বুঝতে পারে নি শিপন। আর বুঝতে পারলেও শিপনের কিছুই করার ছিল না। কারন পরম বন্ধু মদ শিপনের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছায়া সঙ্গী হয়ে থাকে। ফলে যা হওয়ার তাই হল। সোমবার পরম বন্ধু মদ শিপনকে বিদায় জানিয়ে দিল। এইদিন আমতলী থানার অন্তর্গত ব্রজেন্দ্রনগর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় শিপনের মৃতদেহ। দিবারাত্রি আকণ্ঠ মদ্যপানের ফলে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে শিপনের শরীর। কমে যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তারপরও শিপন পরম বন্ধুকে নিজের কাছ থেকে দূরে সরাতে পড়ে নি। জীবনের শেষ দিনেও শিপন তার পরম বন্ধু মদকে পাশে রেখেছে। কিন্তু পরম বন্ধু মদ শিপকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে শেষ বিদায় জানিয়ে দিল।