স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২৪ জানুয়ারি : ২০১৪ সালের আগে দেশ কি অবস্থায় ছিল এবং তারপর দেশে কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটা আগামী দিন গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। শুক্রবার রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে শহুরি সমৃদ্ধি উৎসবে এ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। শহুরি সমৃদ্ধি উৎসবের মূল স্লোগান ত্রিপুরার বিকাশ, শহুরী দিদিদের প্রয়াস। এই শ্লোগানের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, ত্রিপুরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা। ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা বর্তমানে গোটা দেশের মধ্যে একটি ভালো জায়গায় রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে অনেকে গন্ডাছড়া, রানীরবাজার, কদমতলা, পানিসাগরে চেষ্টা করেছে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে। প্রশাসন দ্বারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। বিভিন্ন সময় খবরের কাগজে এবং সংবাদ মাধ্যমের চ্যানেলে বিভিন্ন ঘটনা নজরে আসে। সাথে সাথে খোঁজ নিয়ে কেন এই ঘটনা হয়েছে এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনি ব্যবস্থা নিতে আধিকারিকদের সাথে কথা বলেন। এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনীতির সব জায়গায় চলে না। সদিচ্ছা ও কিছু করার মানসিকতা থাকে সবই সম্ভব। বামফ্রন্ট সরকারকে তাদের মানসিকতার জন্য ৩৫ বছর পর জনগণ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা এখনো অদ্ভুত বায়না করে সরকারের কাছে। সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করে তাদের সম্মেলন সংঘটিত করার জন্য দাবি করছে রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। তারপর বলা হয়েছিল তাদের সম্মেলন যাতে পিছিয়ে দেয় তারা। কিন্তু তাতেও রাজি নয়, তারা অদ্ভুতভাবে বায়না করে বলছে উমাকান্ত একাডেমির সামনে তাদের প্রকাশ্য কর্মসূচি করার জন্য সরকার যাতে তাদের অনুমতি দেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য রেখে বলেন, ত্রিপুরা বর্তমানে জিএসডিপি -তে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই ত্রিপুরা এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন মহিলাদের স্বশক্তিকরণের জন্য সরকারের যা যা করার প্রয়োজন তা সরকার অবশ্যই করবে। এবং সরস মেলা সহ বিভিন্ন মেলায় যাওয়ার পর দেখা যায় মহিলারা যে কিছু করতে পারে তার প্রমাণ তারা তুলে ধরেন। সরকারের মূল উদ্দেশ্য মাতৃ শক্তিকে সামনে রেখে যাতে রাজ্য এবং দেশ এগিয়ে যায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম জেলা সভাধিপতি বলাই গোস্বামী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তারা পরবর্তী সময়ে মেলার স্টলগুলি পরিদর্শন করেন। ফিতা কেটে এবং কেক কেটে বিভিন্ন স্টলের উদ্বোধন করেন।