স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ এপ্রিল :, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে করুণ দশা রাজ্যের কৃষকদের। শতকরা ৮০ ভাগ সেচের মেশিন অচল। একটি মেশিন সারাই করার মতো কোন উদ্যোগ সরকারের নেই। ফলে বর্তমান মরশুমে বুরো ধানের মত ফসল একেবারে ধ্বংসের কিনারায় গিয়ে পৌঁছেছে। বুধবার ছাত্র-যুব ভবনে সংযুক্ত কিষান মোর্চার দেশব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ফসলের সহায়ক মূল্যের সরকারি আইন প্রণয়ন সহ রাজ্যের কৃষকদের ৫ দফা দাবির সমর্থনে গণঅবস্থানের বক্তব্য রেখে এ কথা বলেন সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর।
তিনি বলেন, সার কীটনাশক ঔষধ কোন সরকারি গুদামে নেই। তাই দাবি জানানো হচ্ছে কৃষকরা যাতে সরকারি গুদাম থেকে সার এবং কীটনাশক ওষুধ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা বলে জানান তিনি। সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রেগা মজুরি ৩৪০ টাকা করা হবে এবং ২০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করে নি। বরং মানুষের উপর আঘাত নামিয়ে এনেছে। পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে।
কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাস ত্রিপুরা রাজ্যের মাটির নিচ থেকে তোলা হয়। মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নি। আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকার যদি দাবি পূরণ না করে তাহলে কৃষকরা পুনরায় আন্দোলনে নামবে। কারণ দীর্ঘ কয়েক দশকে কেন্দ্রে যে সরকারই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারাই কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। সরকার। ফলে কৃষকরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। তাই সরকারের উদ্দেশ্যে পুনরায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হচ্ছে যদি সরকার কৃষকদের দাবি না মানে তাহলে পুনরায় আন্দোলনে পথে হাঁটবে কৃষকদের সংগঠনগুলি বলে জানান।
সারা ভারত কৃষক সভার সভাপতি অঘোর দেববর্মা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে প্রতারক বলে মন্তব্য করেন। কৃষকদের আন্দোলন আরো বৃহৎ আকারে সংগঠিত করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে এদিন গণঅবস্থান থেকে জানান তিনি। কৃষকদের দুর্বল ভেবে থাকলে সরকার যে ভুল করবে তা ব্যাপক ভাবে প্রমান হয়েছে, আবার প্রমাণিত হবে বলে তিনি। পাশাপাশি তিনি রাজ্যবাসীকে সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।