Monday, January 13, 2025
বাড়িরাজ্যশহরে বুকে ক্লাব মাফিয়া যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুশাসন...

শহরে বুকে ক্লাব মাফিয়া যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মানুষ, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুশাসন চাইছে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জানুয়ারি :  ক্লাব সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। আর সেই পাতে জল ঢালছে ক্লাবের নেতারা। যারা কোন এক অনুষ্ঠান হলে মন্ত্রী, বিধায়কদের সাদর আমন্ত্রণ করে নিজ এলাকার ক্লাবকে ফার্স্ট ক্লাস করার চেষ্টা করে, তারাই পরে মাফিয়া সেজে তাণ্ডব চালায় এলাকার মানুষের উপর। আবার সেটাই প্রমাণিত হয়েছে আজ। রাজধানীর শান্তি পাড়া এলাকায় সুখলাল মার্কেটে জয়দেব দাসের কাছ থেকে গত ১১ ডিসেম্বর একটি দোকান ক্রয় করেন উত্তম বণিক নামে এক ব্যক্তি। সেদিন দোকানটি রেজিস্টার হওয়ার পর ১৩ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্থানীয় তথাকথিত সুনামধন্য ক্লাবের পদাধিকারী মাফিয়ারা। পরবর্তী সময়ে ১৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নজরে আসে উত্তম বণিকের।

উত্তম বণিক বিষয়টি নিয়ে সাথে সাথে স্থানীয় ক্লাবের সাথে কথা বললে তাকে ক্লাবের নেতারা প্রশ্ন করেন কার অনুমতি নিয়ে এলাকায় দোকান ক্রয় করেছে? এভাবে ক্লাবকে না জানিয়ে দোকান ক্রয় করা উত্তম বণিকের ভুল হয়েছে। তাকে নাকে খর দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর শান্তিপাড়া ঐক্যতান যুব সংস্থা ক্লাবে তিনি চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু কোন রকম সদুত্তর মেলেনি। ক্লাবের মধুসূদন সাহা এবং জয়ন্ত সাহা নামে দুইজন ক্লাব মাফিয়া চাপ সৃষ্টি করছে দোকানটি ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে উত্তম বণিক রাজি না হওয়ায় তার দোকান থেকে তালা খুলছে না ক্লাবের দুই মাফিয়া। অবশেষে মঙ্গলবার তারা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করেন তিনি।

তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার বিধানসভা কেন্দ্রের শংকরাচার্য স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। ভোট আসলে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ডোর টু ডোর কর্মসূচি করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন মাফিয়া মুক্ত রাজ্য করবে ত্রিপুরা। এখন দোকান ক্রয় করে তিনি বুঝতে পারছেন ত্রিপুরা মাফিয়া মুক্ত হয়েছে কিনা! কারণ মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রেই এ ধরনের মাফিয়ার রাজ চলছে। মানুষ টাকা দিয়ে দোকান ক্রয় করে ক্লাবের মাফিয়া দের জন্য ব্যবসা করতে পারছে না। এমন সুশাসন চায় না মানুষ। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত ক্লাবগুলি নিয়ে সব সময় গর্ব করতে দেখা যায়। ক্লাবগুলি সামাজিক কাজকর্মে এখন এগিয়ে আসছে। আগের মত আতঙ্কের কারণ নেই বলে ক্লাব মুখী হওয়ার জন্য সকলকে আহবান করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শহরে প্রান কেন্দ্রে বসে মুখ্যমন্ত্রীর নাম কালিমা লিপ্ত করার জন্য গুন্ডারাজ চালাচ্ছে কিছু ক্লাব। তাদের মোটা অংক পার্সেন্টেজ অনুযায়ী না দিতে পারলে মানুষ জমি কিংবা দোকান ক্রয় করতে পারছে না। তারা যা বলছে তাই শেষ কথা। পেছনে মদত শক্তি মন্ডল, ক্লাবের নেতারা। বর্তমান আমলে তারাই শেষ কথা, গত ছয় থেকে সাত বছরে রাজ্যে কলাগাছ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। রাষ্ট্রবাদী নেতাদের এ ধরনের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট মানুষ। এদিন উত্তম বণিক আরো জানিয়েছেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মুখ্যমন্ত্রী যাতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য