স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ডিসেম্বর : দলীয় কর্মসূচিতে মুখ লুকালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। দলের আভ্যন্তরীণ সমস্যা প্রকট হয়েছে এদিনের অহিংসার দিশারী মহাত্মা গান্ধীর কর্মসূচিতে। নীরব দলের অন্যান্য কর্মী সমর্থক। জানা যায়, ১০০ বছর পূর্বে মহাত্মা গান্ধী প্রথমবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। শতবর্ষ পূর্ণ এই দিনটিকে সামনে রেখে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি এদিন জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা সহ সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে লক্ষ্য করা যায়নি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে। এদিকে দীর্ঘদিন পর কংগ্রেস ভবন মুখী হলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা দুর্দিনের কংগ্রেস বন্ধু বীরজিৎ সিনহা এবং প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ১৯২৪ সালে ২৬ শে ডিসেম্বর বেলগ্রাম সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনের প্রথমবার সভাপতিত্ব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। উনার মূল মন্ত্র ছিল অহিংসা এবং গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু দেশে ও রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়া মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই সংবিধান সংশোধনের পথে হাঁটছে সরকার। তাই আম্বেদকরের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘৃনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করে বিরূপ ধারণা দিচ্ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝা গেছে বিজেপি উচ্চবর্ণ এবং কয়েকজন শিল্পপতির জন্য কাজ করছে। শুধু তাই নয় তারা পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এর বিরুদ্ধে গোটা দেশবাসী ধিক্কার জানাচ্ছে মোদি সরকারকে। মহাত্মা গান্ধীর মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আগামী দিন গোটা দেশে ধিক্কার শুরু করবে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জানান, এদিনটি সারাদেশে শ্রদ্ধার সাথে রাজ্যেও পালন করা হচ্ছে। মহাত্মা গান্ধী অহিংসার মন্ত্র দিয়ে গেছেন। আজ অহিংসার মন্ত্র গোটা পৃথিবীর মানুষ অনুভব করতে পেরেছে। কিন্তু তাঁর অহিংসার মন্ত্র নিয়ে তৎকালীন সময়ে অনেকে তিরস্কার করেছিলেন বলে জানান।