স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ ডিসেম্বর : বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য নর্থ ইস্ট কাউন্সিল দীর্ঘ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই এন ই সি -র টাকায় রাজ্যে প্রোমো উৎসব, মেলা, খেলা ইত্যাদি হচ্ছে। শনিবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে জে.ভি স্তালিনের স্মরণ সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বললেন বিরোধী দল নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। জে.ভি স্তালিনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান।
তারপর এন ই সি বৈঠকের কটাক্ষ করে তিনি বললেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসেছেন নড়বড়ে সংগঠন ওয়েল্ডিং করে মেরামত করার জন্য। কিন্তু এগুলো কিছুই কাজে আসবে না। মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তি যেই পদে অধিষ্ঠ হোক না কেন মনের ভেতর যদি ভালো চিন্তা থাকে, একইসাথে খারাপ ভাবনা থাকে এর প্রকাশ ঘটবে। তিনি বলেন দেশের তেরঙ্গা ঝান্ডা যখন গৃহীত হয় তখন এই আরএসএস তীব্র বিরোধিতা করেছিল। সে সময় তারা বলেছিল এই পতাকা মানে না। একই সাথে সংবিধানের বিরোধিতা করে বলেছিল ভারতবর্ষের সংবিধান হবে মনো সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে। সে সময়েই সংবিধান তারা পরিবর্তন করার ডাক দিয়েছিলেন। এই আরএসএসের নেতা হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভোটের বাজার ধরার জন্য আম্বেদকরের ছবির সামনে ফুল দিলেও এগুলি সবকিছুই তাঁদের কৃত্রিম। কিন্তু তাঁদের মনের ভেতর রয়েছে এই সংবিধান ভাঙ্গার। এবং সংবিধান প্রনেতা ডঃ বি আর আম্বেদকরকে আস্তা কুঁড়ে ছুঁড়ে দেওয়ার। এটাই সংসদের ভেতরে করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমন কুরুচিকর মন্তব্য প্রমাণ করে তারা কত অপরাধী। আরো বলেন, পার্লামেন্টে অধিবেশন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু ২০ ডিসেম্বর তারা মুলতবি করে নেয়। কারণ এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিল পাশ হয়ে গেছে। তারপর এটা তারা জেপিসিতে পাঠিয়ে দেয়। সুতরাং প্রমাণ করে আরএসএস সুষ্ঠু, যুক্তি মূলক ও গঠনমূলক আলোচনায় ভয় পায়। এটাই বিজেপি এবং আরএসএসের আসল চেহারা। এবং এর প্রোডাক্ট হলেন অমিত শাহ। এভাবেই সমালোচনা করলেন বিরোধীদল নেতা।