স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ এপ্রিল : এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির স্কুল হিন্দি ভাষা চালু করার পরিকল্পনা তার তীব্র প্রতিবাদ জানান রবিবার দুপুরে স্টুডেন্ট হেলথ হোমে জয়েন্ট ফোরাম ফর মুভমেন্ট অন এডুকেশন ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের কোর্ডিনেটর তথা শিক্ষাবিদ ড. মিহিরলাল রায়। তিনি বলেন, ইউজিসি দেশে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আওতাধীন কলেজগুলিতেও স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে কমন এন্ট্রান্স টেস্টের ঘোষণা দিয়েছে।
টেস্ট নেবে কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী গঠিত ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক সহ শিক্ষাবিদ, শিক্ষা অনুরাগী মানুষরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত কোচিং ব্যবসাকে আরো ব্যাপক হবে। শিক্ষা আরো মহার্ঘ হবে। দ্বাদশ উত্তীর্ণ বহু শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর পড়ুয়ারা আর বঞ্চনার শিকার হবে। ইউ জি সি -র এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এবং এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকার বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন এতে বৈষম্য বাড়বে।
অন্যদিকে শিক্ষা আরো বেশি মহার্ঘ হবে। এখন স্কুল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রকল্প শুরুতেই পড়ুয়াদের মাথা পিছু বছরে এক হাজার টাকা উন্নয়নই ফিস দিতে হবে বলছে। সাথে সিবিএসসি উচ্চহারে পরীক্ষার ফিস আছে। সুতরাং সার্বিকভাবে এটা বলা চলে যে এই উদ্যোগ রাজ্যের অবৈতনিক ও সার্বজনীন শিক্ষা গ্রহণের অধিকার হরণ ছাড়া আর কিছু নয়। এক তীব্র ভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। তাই দাবী জানানো হচ্ছে সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য বৈষম্যহীন, গুণগত ও অবৈতনিক শিক্ষা দরকার বলে জানান তিনি। আরো বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ভাষার প্রশ্নে হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তিনি।