স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ ডিসেম্বর : দুর্বৃত্তরা বোমা নিক্ষেপ করলো কমলাসাগর চা বাগান মিয়া পাড়া এলাকার রাকেশ দেব নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। অল্পেতে বেঁচে গেল পরিবারের চারজন সদস্য। বোমা নিক্ষেপের ফলে বাড়িঘর গাড়ি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তছনছ হয়ে যায়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে রাকেশ দেবের বাড়িতে ছুটে যান মধুপুর থানার ওসি দেবজিৎ চ্যাটার্জি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা যায় কমলাসাগর মিয়া পাড়া এলাকায় তিনটি হিন্দু পরিবার রয়েছে।
রবিবার রাতে অন্যান্য দিনের মতো রাকেশ দেব সহ তার পরিবারের সদস্যরা খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমাতে যায়, রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পায়, পরে দেখতে পায় বাড়ি ঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙ্গা এবং গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে চুরমার করা অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাকেশ দেব। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আগে এলাকায় সাত থেকে আটটি হিন্দু পরিবার ছিল। কিছুদিন আগে ডাকাতি করার পর এলাকা থেকে অধিকাংশ পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে গেছে। এখন এই তিনটি পরিবারকে এলাকা থেকে তুলে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা শুরু করেছে দুর্বৃত্তরা। একাধিক বার প্রাণনাশের চেষ্টাও করেছে বলে অভিযোগ। একই মতলব নিয়ে দুর্বৃত্তরা রবিবার রাতের বেলা বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে এলাকার বিধায়িকা অন্তরা দেব সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন বাংলাদেশের ঘটনার সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। এগুলি কোনভাবেই কাম্য নয়। এলাকাবাসী যাতে প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা করে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখে তার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কি কমলা সাগর মিয়া পাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের আনাগোনা রয়েছে এবং কমলাসাগর মিয়াপাড়া এলাকার দুষ্কৃতিকারীদের যোগাযোগ আছে?
পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসলে রহস্য বের হয়ে আসবে। তবে পরিস্থিতি অনেকটাই উদ্বেগজনক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে বলে মনে হচ্ছে এলাকাবাসী। একই সাথে সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি আরো বেশি কড়াকড়ি করার দাবি তুলেছে আমজনতা। কারণ এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় বড়সড় ঘটনাও করতে পারে। শুধু তাই নয় সাম্প্রদায়িক সমস্যাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সোমবার দুপুরে বলরাম দত্ত ও আকাশ দে নামে দুজন যুবক এলাকায় গাড়ি নিয়ে গিয়ে নেশা করার সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয়। তারা এই বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তারপর দুজনকে মধুপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।