স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের সাথে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এক প্রকার ভাবে বিচ্ছিন্নের মুখে বলা যায়। রবিবার দিনভর বাংলাদেশ থেকে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ও বাংলাদেশী নাগরিক প্রবেশ করলেও আসেনি কোন পণ্যবাহী লরি। কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিকরা ভারতের ভূখন্ডে নিয়মিত পা রাখছে। শুধু তাই নয় নিজ দেশের মানুষের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা ঝড় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরলেন তারা।
তাদের বক্তব্য বাংলাদেশে অবমাননা করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকাকে। ত্রিপুরা থেকে যাত্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের উপর এক প্রকার আক্রমণ করেছে শনিবার। বাসের অভ্যন্তরে থাকা যাত্রীদের প্রান নাশের হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ইউনুস খানের সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে বাংলাদেশের বড়সড়ো সংকটের মুখেও পড়তে হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন বাংলাদেশের নাগরিক। তারা জানান, অবিলম্বে বাংলাদেশের সরকারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। কারণ সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর এভাবে আক্রমণ কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাঞ্চনীয় নয়।
বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা এবং কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে আসে বাংলাদেশের মানুষ। এবং বহু সামগ্রী ভারত থেকে আমদানি হয় বাংলাদেশে। আর্থিক বিকাশ সহ সার্বিক ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু গত কয়েক দিনে সেখানে হিন্দুদের উপর বিনা কারণে নির্যাতন বাড়িয়ে চলেছে কিছু চরমপন্থী লোক। শুধু তাই নয় ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়েছে বাংলাদেশে। এই ধরনের কাজকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমনটাই মনে করছে বাংলাদেশের মানুষ। এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার আখাউরা চেক পোস্টে প্রতিবাদে সরব হয় রাজ্যের অটো চালকরাও। অটো চালকদের বক্তব্য প্রতিদিন বহু বাংলাদেশী নাগরিক আখাউরা চেক পোস্ট দিয়ে ভারতে আসে। তারা বাংলাদেশী নাগরিকদের অতিথির ন্যায় সম্মান করে। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যা লঘুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। সেই দেশের সংখ্যা লঘুরা বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছে। তাদের দাবি বাংলাদেশের সংখ্যা লঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধ করা হোক। নাহলে গোটা ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাংলাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন করা হোক বলে দাবি করেন তারা।