Thursday, December 26, 2024
বাড়িরাজ্যপ্রশাসনের অভিযান বাজারে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেই

প্রশাসনের অভিযান বাজারে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেই

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ নভেম্বর : বাজারে আলু, পেঁয়াজের মূল্য হ্রাস পাওয়ার নাম গন্ধও নেই। সদর মহকুমা প্রশাসনের এনফোর্সমেন্ট টিম মাঝে মধ্যে মন চাইলে লোক দেখানো অভিযান চালায়। অভিযানে বের হয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে আলু পিয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। বুধবার যে দৃশ্য পরিলক্ষিত হল তা সত্যি তাজ্জব হওয়ার মতো। এনফোর্সমেন্ট টিম বাজারে বের হয়ে আলু পেঁয়াজের খুচরো মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।

 যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা কিলো এবং আলুর পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে আলো পেঁয়াজের মূল্য এতটা অস্বাভাবিক হওয়ার কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কোন কিছুই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা মধ্যে থাকছে না। গত আগস্ট মাসের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষ। তার উপর দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রিক মূল্য লাগাতার বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে রান্নার কাজে ব্যবহৃত আলু, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণের কোন নাম নেই। বিগত দিনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা অন্য কোন কারণবশত যদি আলো পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি হয়ে থাকতো, তাহলে তার সময়সীমা ছিল ১ থেকে দেড় মাস। কিন্তু এবছর লক্ষ্য করা যাচ্ছে আলু, পেঁয়াজ সহ অন্যান্য সামগ্রী মূল্য লাফিয়ে বাড়ার পর মূল্য কমার কোন নাম নেই।

 এনফোর্সমেন্ট টিম বাজারে অভিযান চালালেও কোন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারছে না তারা। বিগত দিনের মন্ত্রী নির্দেশে রেশনের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এবার রেশনের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করার ভূমিকা নেয়নি সরকার। রেশনের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি হলে ক্রেতাদের পকেট কাটার সুযোগ হারায় বিক্রেতারা। তারপর ধীরে ধীরে তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের মূল্য এবং আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করে। শুধুমাত্র মানুষের পকেট কাটার কোন দিক খুঁজে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ী মহল। আর তাদের সাথে হাত মিলিয়ে চলেছে কতিপয় প্রশাসনিক কর্মীরা। বাজারে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত অংশের মানুষ। পাঁচ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বেড়েছে রাজ্যের কর্মচারীদের। এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসার উপর। কিন্তু লাভালাভ হয়নি রাজ্যের আমজনতার। দিনমজুর থেকে শুরু করে যারা বেসরকারি সংস্থায় কিংবা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সংসার পরিচালনা করে তাদের জন্য আলো পেঁয়াজের মূল্য অনেক বেশি। একই সাথে চাল এবং তেলের মূল্যও লাগামহীন ভাবে বেড়েছে। এদিন সকালে বেশ কয়েকটি দোকানে ভোজ্য তেলের মূল্য যাচাই করতে গিয়ে পাইকারি মূল্যের কাগজ দেখতে চায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কোন কাগজে দেখাতে পারেনি কতিপয় ব্যবসায়ী। এনফোর্সমেন্ট টিমের এক প্রশাসনিক আধিকারিকের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন কেন আলু পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার কারণ বুঝতে পারছেন না।

প্রশ্ন হল নিয়মিত তারা অভিযান চালানোর পরেও কেন বুঝতে আলু পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না। এমনকি আবার তিনি আশ্বাস দিলেন আগামী দু এক দিনের মধ্যে আলু পেঁয়াজের মূল্য কমবে। আজ পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কিলো। পাইকারি মূল্য ৩১ টাকা কিলো। পেঁয়াজের খুচরো মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা কিলো এবং আলুর খুচরো মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা। তবে এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ আলু পেঁয়াজ সহ অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য বাজারে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এটা বলার অপেক্ষায় রাখে না, এদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন রাজ্য সরকারের। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সবকিছু। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে প্রশ্নের মধ্যে পড়তে হতে পারে সরকারকে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য