স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ নভেম্বর : নেশা মুক্ত করতে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, শ্রমজীবী অংশের মানুষের ঋণ মুকুব করা, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা সহ ৮ দফা দাবিতে মঙ্গলবার পশ্চিম জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করল ত্রিপুরা মহিলা সংগ্রাম পরিষদ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদিকা রিজিয়া খাটুন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় মানুষ জর্জরিত।
২০১৮ সালে বর্তমান সরকার রাজ্যবাসীকে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার নির্দেশে নেশা কারবারিদের ঠেকাতে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়। তারপরও রাজ্যে সর্বনাশা ড্রাগসের অবৈধ বানিজ্য চলছেই। উল্টো দিনের পর দিন ড্রাগসের সর্বনাশা বানিজ্য শহর, শহরতলী, গ্রাম পাহাড় সর্বত্র ছেয়ে গেছে। স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সমাজের যুবক যুবতীদের একটা বড় অংশ প্রতিনিয়ত ড্রাগসে আসক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ গোটা রাজা ক্রমশ ড্রাগসের কবলে চলে যাচ্ছে। শিরাপথে ড্রাগস নিতে গিয়ে রাজ্যে এইডস রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আগরতলার নন্দন নগর মসজিদ পাড়া থেকে শুরু করে বৃহত্তর আগরতলায় ড্রাগস আসক্তির কারনে রীতিমতো বিপর্যয়ের মুখে। একাংশ স্বার্থান্বেষী কাঁচা পয়সার লোভে ড্রাগস বিক্রি সমাজের বিপর্যয় ডেকে আনছে। পরিতাপের বিষয় হলো, এই বিপর্যয় ঠেকাতে প্রশাসনিক তৎপরতা কিংবা নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। একদিকে ড্রাগসের সর্বনাশা থাবায় নাগরিক মাত্রই যখন উদিয় তখন সমস্ত স্তরের শ্রমজীবী মানুষ রুজী রুটি ও কর্মসংস্থানের সঙ্কটে দিশেহারা। তার উপর রয়েছে আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি।
শ্রমজীবী পরিবার গুলো অর্থ সংকটে চিকিৎসা করতে পারছে না। তাদের সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মেটাতে পারছে না বিদ্যুৎ বিল। ঘরে নিতে পারছে না রান্নার গ্যাস। ব্যাংক, মাইক্রোফিনান্স কোম্পানি কিংবা বিভিন্ন নিগম থেকে যারা ঋন নিয়েছে, এসব পরিবার গুলো ঋন পরিশোধ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।