Saturday, January 18, 2025
বাড়িরাজ্যশহরে অভিযান চালালো ট্রাফিক কর্মীরা এবং আগরতলা পুর নিগমের টাস্ক ফোর্স

শহরে অভিযান চালালো ট্রাফিক কর্মীরা এবং আগরতলা পুর নিগমের টাস্ক ফোর্স

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ নভেম্বর : বারংবার আগরতলা শহরে অভিযান চালানোর পরেও যানজট নিরসনে ব্যর্থ রাজ্যের ট্রাফিক কর্মীরা এবং আগরতলা পুর নিগমের টাস্ক ফোর্স। এবার সব ছেড়ে কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালবেলা পোস্ট অফিস চৌমুহনি থেকে মহারাজগঞ্জ বাজার পর্যন্ত অভিযান চালায় ট্রাফিক কর্মীরা এবং আগরতলা পুর নিগমের টাস্ক ফোর্স। অভিযানে বের হয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা প্রত্যক্ষ করেন মানুষের চরম গাফিলতি। বিশেষ করে নেতাজি চৌমুহনী এলাকায় ব্যবসায়ীরা নিজের মর্জি মাফিক সরঞ্জাম সাজিয়ে বসে ব্যবসা করার বিষয় প্রত্যক্ষ করেন। দোকানের সামনে রাস্তার উপর সিঁড়ি, পোস্টার সহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাখা ছিল। আগরতলা পুর নিগমের টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা এই সরঞ্জাম গুলি আটক করেন।

 অপরদিকে দেখতে পায় রাস্তার পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ রাস্তার উপর বেআইনিভাবে গাড়ি ও বাইক পার্কিং করে রাখছে। ট্রাফিক কর্মীরা তাদের মোটা অংক জরিমানা করে। গাড়িতে জরিমানার স্টিকার লাগিয়ে দেন। দোকান থেকে বের হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা ট্রাফিক কর্মীদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ট্রাফিক কর্মীরা জানিয়ে দেন শহরকে যানজট মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। বেআইনিভাবে পার্কিং করার ফলে পথচারীরা সঠিক সময়ের মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে না। এছাড়াও রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। যারা এ ধরনের বেআইনির কার্যকলাপে যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি দোকানের সরঞ্জাম রাস্তায় রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে পোস্ট অফিস চৌমুহনি থেকে মহারাজগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম রাস্তা।

এ রাস্তায় বেআইনিভাবে পার্কিং বা রাস্তায় দোকানের সরঞ্জাম ফেলে রাখা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক আধিকারিক। তবে তিনি স্বীকার করে নেন আগরতলা শহরে মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে ই-রিক্সা। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী নেই। আগরতলা শহরে যানজটের অনেক গুলি কারন রয়েছে। কিছু সমস্যা আগরতলা পুর নিগমের অধিন, কিছু সমস্যা পরিবহন দপ্তর সমাধান করতে পারে। তাই সমস্যা গুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরবর্তী সময় আলোচনা করে সমস্যা গুলির সমাধান করা হবে।আগরতলা শহরে অস্বাভাবিক ভাবে ই-রিক্সা বৃদ্ধি পেয়েছে তা ঘটনা সত্য। কিন্তু শুধুমাত্র অভিযান চালিয়ে আগরতলা শহরকে যানজট মুক্ত রাখা আদৌ কতটা সম্ভব তা সময়ই বলবে। তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে আগরতলা শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে হলে প্রথমে ই-রিক্সার লাগাম টানতে হবে। তাই ই-রিস্কা গুলিকে চলাচলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সড়ক চিহ্নিত করে বিধি নিষেধ আরোপ করতে হবে। উল্লেখ্য, স্মার্ট সিটি আগরতলা শহর বর্তমানে যান জটের শহরে পরিণত হয়েছে। যান জটের কারনে মানুষ নির্দিষ্ট সময় হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরও সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে পারছে না। কারন শহর জুড়ে যানজট।

কিছুটা বিলম্ব হলেও তা বোধগম্য হয়েছে ট্রাফিক দপ্তরের। কিন্তু ঢাল তরোয়াল হীন নিধিরাম সর্দার ট্রাফিক দপ্তর কি বা করবে। নামে ট্রাফিক দপ্তর থাকলেও নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। ফলে আগরতলা শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে ট্রাফিক দপ্তর। প্রায় প্রতিদিন একই অবস্থা। আগরতলা শহরে চলাফেরা করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারন মানুষের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য